বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
চিনে বিয়ের হার নাটকীয়ভাবে কমে যাচ্ছে, ২০২৪ সালে নতুন বিয়ের রেজিস্ট্রি সংখ্যা মাত্র ৫.৮ মিলিয়নে নেমে এসেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২০.৫% কম এবং ১৯৭৮ সালের পর থেকে সর্বনিম্ন। এই প্রবণতা মূলত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিয়ের প্রতি চিন্তাভাবনার একটি বড় পরিবর্তনকে সামনে এনেছে। চিনের তরুণ প্রজন্মের ক্রমশ বিয়ে এবং পরিবার গঠনের প্রতি অনীহা বাড়ছে।
অনেক তরুণ চিনার কাছে এখন বিয়ে কম আকর্ষণীয় ব্যাপার হয়ে গেছে, কারণ অর্থনৈতিক চাপ, কর্মস্থলের উচ্চ চাহিদা এবং সন্তান পালনের খরচা তাদের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কারও কারও জন্য, বিয়ে এবং পরিবারের ধারণা তাদের জীবনের সাথে খাপই খায় না।
এই চিন্তাভাবনা অনেকের মধ্যেই বাড়ছে, যেখানে পরিবারের প্রতি পরম্পরাগত দৃষ্টিভঙ্গি আধুনিক কর্মব্যস্ত জীবনের বাস্তবতার সাথে মানানসই হচ্ছে না।
চিনা সরকার এই প্রবণতা পাল্টানোর চেষ্টা করলেও তা তেমন সফল হয়নি। “ফার্টিলিটি-ফ্রেন্ডলি সোসাইটি” প্রচারের মাধ্যমে মাতৃত্বকালীন ছুটি বাড়ানো, শিশুর যত্নের জন্য ভর্তুকি দেওয়া এবং সচেতনতার মতো পদক্ষেপ নিলেও তরুণ প্রজন্ম বিয়ে বা পিতৃত্বের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে না। চীনের দ্রুত বয়স্ক হওয়া জনসংখ্যা এবং কম জন্মহারের কারণে কর্তৃপক্ষ বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন।
সামাজিক ক্ষেত্রেও এতে বড় প্রভাব পড়ছে চিনে। অনেক তরুণ প্রাপ্তবয়স্ক তাদের বাবা-মায়ের উপর নির্ভর করেই খুশি, মানসিক এবং আর্থিক সমর্থন পেয়ে জীবনযাপন করছে। ঝেং, ঝেজিয়াং প্রদেশের একজন শিক্ষক, উল্লেখ করেছেন যে প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষাব্যবস্থা এবং সন্তানের যত্নের খরচা অনেককে সন্তান নেওয়া থেকে বিরত করছে।
তরুণ প্রজন্ম ব্যক্তিগত সন্তুষ্টিকে পারিবারিক কাঠামোর ওপরে বিবেচনা করার ফলে, চিনের জনসংখ্যা সংকট আরও গভীর হচ্ছে, এবং বিয়ে, যা একসময় চিনা সমাজের ভিত্তি ছিল, ক্রমশ গুরুত্ব হারাচ্ছে। এর ফলে উদ্বেগ বাড়ছে চিনা অর্থনীতিতে। জনসংখ্যা এই হারে কমতে থাকলে শ্রম শক্তি এবং উৎপাদনশীলতায় গভীর সংকট ফেলতে পারে।
তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন