বিল গেটসের চোখে সাফল্যের মানে

আপডেট: মার্চ ২, ২০১৭, ১২:১৭ পূর্বাহ্ণ

সোনার দেশ ডেস্ক



সাফল্যে সংজ্ঞা কী? এ প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দুই ধনকুবের বিল গেটস ও ওয়ারেন বাফেট। মাইক্রোসফট সহ-প্রতিষ্ঠাতা গেটস ৮৬৪০ কোটি ডলার আর বার্কশায়ার হ্যাথঅ্যাওয়ে’র প্রধান বাফেট ৭৬৮০ কোটি ডলার সম্পত্তির মালিক, তবে এই দুই বন্ধুর দেওয়া সাফল্যের সংজ্ঞায় সম্পদের কোনো সম্পর্ক নেই।
সোমবার এক প্রশ্নোত্তর সাইট রেডিট-এ “সাফল্য সম্পর্কে আপনার ধারণা কী?”- এই প্রশ্নের জবাবে গেটস নিজের বন্ধুর উদ্ধৃতি টেনে জবাব দেন- “ওয়ারেন বাফেট সবসময় বলে এসেছেন আপনার কাছের মানুষরা সুখী আর আপনাকে ভালোবাসে কিনা তা দিয়েই এটি মাপতে হবে।”
৬১ বছর বয়সে গেটস, তবে তার চলার গতি এখনও মন্থর হয় নি। জোরেসোরেই চালিয়ে যাছেন নিজের দাতব্য প্রতিষ্ঠান বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। তবে সবকিছু ছাপিয়ে তিনি এখন নিজের পরিবারকে সময় দেওয়াকেই এখন বেশি প্রাধান্য দেন।
গেটস বলেন, “আমি আমার ১৭ বছরের ছেলেকে নিয়ে ছয়টি কলেজ ঘুরেছি। সে এখন হাই স্কুলে পড়ছে আর পরবর্তীতে কোথায় পড়তে যাওয়া উচিত তা ঠিক করার চেষ্টা করছে। এ ধরনের ভ্রমণ একসঙ্গে সময় কাটানোর জন্য চমৎকার উপায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
নিজের তিন সন্তানকে নিয়ে বাইরে বের হলে মাঝেমধ্যে মানুষের চোখ এড়াতে ছদ্মবেশ নেওয়ার কথাও জানান তিনি। “যেমন ধরুন, আমি যখন আমার ছেলেকে নিয়ে কলেজ পরিদর্শনে গিয়েছিলাম, আমি পুরোপুরি তার দিকেই মনোযোগ রাখতে চেয়েছি। মাথায় হ্যাট পরা অবস্থায় খুব কম মানুষই আমাকে চিনতে পারে।”
পাঠক হিসেবে গেটস খুবই আগ্রহী একজন বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি। বইয়ের ক্ষেত্রে ছেলের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
গেটস আরও বলেন, “সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ খুঁজতে আমাকে সহায়তায় মেলিন্ডা সব সময় খুবই সৃজনশীল। এমনকি তাদেরকে গাড়ি চালিয়ে তাদের স্কুলে দিয়ে আসাটাও তাদের সঙ্গে আলাপ করার চমৎকার সুযোগ।” সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটানোর অভিজ্ঞতা জানানোর সঙ্গে দাদা হওয়ার আশাও প্রকাশ করেন গেটস।
নিজের বিশ্বাস করা সাফল্যের সংজ্ঞা অনুযায়ী তার ভালোবাসা ও কাছের মানুষরা সুখী কিনা- এমনটা নিশ্চিত করতে গিয়ে গেটস বলেন, “আপনি কোনো একটা উদাহরণ তৈরি করছেন- এই  অনুভূতি সব সমিই আনন্দের- সেটা হতে পারে কিছু একটা উদ্ভাবন করা বা সন্তানদের বড় করা বা সহায়তা প্রয়োজন এমন মানুষের পাশে দাঁড়ানো।”
মাইক্রোসফটে কাজ করাকে নিজের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে দেখেন গেটস, এমনকি নিজের মানবহিতৈষী কাজগুলোর চেয়েও বেশি।-বিডিনিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ