শনিবার, ১০ জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২৭ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহীতে ১২ দিনেও হদিস মেলেনি প্রশাসনের পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া রেজাউল করিম নামের এক বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রের। এ ব্যাপারে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করা হলেও এখনো তার সন্ধ্যান করতে পারেনি পুলিশ। গত ২৭ ডিসেম্বর নগরীর সাহেববাজার এলাকার একটি ছাত্রবাস থেকে প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে তাকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানায় নিখোঁজ রেজাউলের ভাই ছেতাউর রহমান।
নিখোঁজ বিশ^বিদ্যালয় ছাত্র রেজাউল করিম চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার ধোকরা পাঠবেলালপুর গ্রামের আইনাল হকের ছেলে। রেজাউল রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের সান্ধ্যকালিন এমবিএ’র ছাত্র। গত ১ জানুয়ারি নিখোঁজ রেজাউল করিমের মামাতো ভাই আব্দুর রশিদ থানায় জিডি করেন।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, রেজাউল নগরীর সাহেববাজার এলাকার এসএস প্লাজা ছাত্রাবাসে থাকতো। ২৭ ডিসেম্বর সাড়ে ৯টার দিকে তিনি রুম থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবর নিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
রেজাউলের মামাতো ভাই আব্দুর রশিদ বলেন, থানায় গিয়ে রেজাউলকে কিভাবে ধরে নিয়ে গেছে সে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে পুলিশ জিডিতে ধরে নিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেনি বলে জানান তিনি।
রেজাউলের বড় ভাই ছেতাউর রহমান বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে ৬/৭ জন গিয়ে নিজেদের প্রশাসনের লোক পরিচয় দেয়। তাদের সহযোগিতা করার কথা বলে জোরপূর্বক তাকে রেজাউলকে ধরে নিয়ে যায়। এর পর তারা রাত ১টার দিকে রেজাউলকে নিয়ে তার গ্রামের বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে নিজের ছেলে কি না জানতে চায় রেজাউলের বাবার কাছে। এর পর ওই ছাত্রবাসে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে রেজাউলকে সেখান থেকে নিয়ে যায় তারা। এসময় তারা গোয়েন্দা পুলিশের লোক বলে পরিচয় দেয় বলেন ছেতাউর।
তিনি বলেন, এসএস প্লাজা ছাত্রবাসের ৪০৫ নং রুমে রেজাউল নয় বছর ধরে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোথায় কোন অভিযোগও নেয় বলেন জানান ছেতাউর রহমান।
বোয়ালিয়া থানার ওসি শাহাদত হোসেন খান বলেন, অভিযোগকারি যেভাবে ঘটনার বিবরণ দিয়েছে সে ভাবেই জিডি নেয়া হয়েছে। থানায় জিডি দায়ের করার পর পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে বলেও জানান তিনি।