বিশ্বের একমাত্র ব্যক্তি যিনি ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করেছিলেন ৫০-টির বেশি দেশ, চিনে নিন তাঁকে

আপডেট: এপ্রিল ২৭, ২০২৫, ৯:০৪ অপরাহ্ণ

সোনার দেশ ডেস্ক:


যদি কাউকে প্রশ্ন করা হয় ভিসা ছাড়া কোনও দেশে কী যাওয়া যেতে পারে। তাহলে সেই ব্যক্তি উত্তর দেবেন না। তবে এবারই চমক বিশ্বে এমন একজন ব্যক্তি রয়েছেন যিনি কোনও পাসপোর্ট বা ভিসা ছাড়াই গোটা বিশ্বে ভ্রমণ করেছেন। কোনও দেশ তাঁকে বাধা দেয়নি।

ভ্যাটিকান সিটিতে তিনি থাকতেন। তাঁর নাম পোপ ফ্রান্সিস। তাঁকে এমনভাবে দেখা হত যে কোনও দেশ কখনও তাঁর ভ্রমণে আপত্তি করেনি। তিনি ৫০ টির বেশি দেশ ভ্রমণ করেছেন। কোনও পাসপোর্ট বা ভিসা লাগেনি। ভ্যাটিকান সিটির প্রধান হিসেবে তিনি ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোম্যাট ফিগার। তাঁর কাছে ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্ট ছিল। ফলে তিনি বিশ্বের যেকোনও জায়গা ভ্রমণ করেছেন কোনও ভিসা তার লাগেনি।

ইটালি এবং ভ্যাটিকান সিটির মধ্যে ১৯২৯ সালে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সেখান থেকেই ভ্যাটিকান সিটিকে একটি আলাদা মর্যাদা দেওয়া হয়ে থাকে। ১৯৬১ সালে ভিয়েনা চুক্তিতেও বলা হয়েছিল পোপ হবে সকলের ওপরে। তিনি কোনও দেশের অধীনে নন। চিন এবং রাশিয়া ভিসার বিষয়টি নিয়ে কড়াকড়ি করলেও পোপ তার উপরে থাকেন।
পোপকে সকলে দেশের ওপরে রেখেছে। তার কাছে রয়েছে একটি ব্যক্তিগত বিমান। সেটি করেই তিনি গোটা বিশ্ব ভ্রমণ করেছেন। সেই বিমানের নাম শেফার্ড ওয়ান। এটি একটি বোয়িং বিমান। পোপের বিমান হিসেবে এটিকে ধরা হয়ে থাকে।

প্রসঙ্গত, বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষের চোখে জল, ভক্তি আর শ্রদ্ধা নিয়ে প্রয়াত হয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। তিনি ইস্টারের দিনে, ৮৮ বছর বয়সে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মারা যান। এরপর অনুষ্ঠিত হয় তাঁর শেষকৃত্যানুষ্ঠান, যেখানে ৫৪টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও ১২টি রাজপরিবারের সদস্যরা অংশ নেন।

পোপ ফ্রান্সিসের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী, তাঁকে ভ্যাটিকানের অন্তর্গত সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার নিচে নয়, বরং রোম শহরে অবস্থিত ব্যাসিলিকা ডি সান্টা মারিয়া ম্যাগিওরে সমাধিস্থ করা হয়েছে। কয়েক শতাব্দীর প্রথা ভেঙে, এই সমাধি চেয়েছিলেন পোপ নিজেই।

পোপের শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, ব্রিটেনের প্রিন্স উইলিয়াম, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ, স্পেনের রাজা ষষ্ঠ ফিলিপ ও রানি লেতিসিয়া এবং ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা প্রমুখ। অনেক রাষ্ট্রনেতা, যারা বর্তমান আন্তর্জাতিক নানা ইস্যুতে পোপের সঙ্গে মতানৈক্যে ছিলেন, তাঁরাও সম্মান জানাতে উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ