বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দেশটির সেনাবাহিনীকে তার সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৮০ হাজার বাড়িয়ে ১৫ লাখ সক্রিয় সৈন্য রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপ রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে চীনের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেনাবাহিনী করে তুলবে। খবর আল জাজিরার।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ক্রেমলিনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এই আদেশ ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে। আদেশে বলা হয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীর সামগ্রিক আকার ২৩ লাখ ৮০ হাজারে উন্নীত করা হবে। এর মধ্যে ১৫ লাখ থাকবে সক্রিয় সেনা।
সামরিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (আইআইএসএস) এর তথ্যানুসারে, এই ধরনের বৃদ্ধির ফলে সক্রিয় সেনা সদস্যের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতকে ছাড়িয়ে যাবে রাশিয়া। সক্রিয় সেনাবাহিনীর দিক থেকে বেইজিংয়ের পরের অবস্থানে থাকবে মস্কো।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণ-স্কেল সামরিক অভিযান শুরুর পর এ নিয়ে তৃতীয় দফায় সেনা বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। ঘোষণাটি এমন সময়ে এলো, যখন রাশিয়ান বাহিনী পূর্ব ইউক্রেনে আরও কিছুটা অগ্রসর হওয়ার এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীকে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চল থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টায় রয়েছে।
চলতি বছরের জুনে পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িত সেনার সংখ্যা প্রায় ৭ লাখ বলে জানিয়েছিলেন।
২০২২ সালের শেষের দিকে ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণের মুখে ৩ লাখেরও বেশি রিজার্ভ সেনা তলব করেছিল রাশিয়া। এরপর থেকে দেশটি উচ্চ বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে স্বেচ্ছাসেবক সৈন্য নিয়োগের উপর নির্ভর করছে।
তবে লক্ষ্য পূরণে প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়াতে রাশিয়া আসলেই সক্ষম হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। অনেকের মতে, পুতিন হয়তো আরও বেশি নারীকে সেনাবাহিনীতে কাজ করার অনুমতি দেওয়ার জন্য আইন পরিবর্তন করতে পারেন।
তথ্যসূত্র: রাইজিংবিডি