রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক:
সম্পত্তির পরিমাণ ৭.৫ কোটি টাকা। রয়েছে ফ্ল্যাট, দোকান, ব্যবসা। মাসে আয় হাজার হাজার। তকমা পেলেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ভিক্ষুকের। তিনি থাকেন ভারতেই। জীবন-যাপন আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো নয়। ভিক্ষাকে পেশা বানিয়ে আজ স্বাচ্ছন্দ্যে বাঁচছেন তিনি, সঙ্গে পরিবারও।
ভরত জৈন, ভিক্ষা করেন মুম্বইয়ের প্রাইম লোকেশনে। একদিকে আজাদ ময়দান, আরেক দিকে ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ টার্মিনাস। দিনে ১০-১২ ঘণ্টা, এখানেই থাকেন তিনি। মাসে রোজগার ৬০ হাজার থেকে ৭৫ হাজার টাকা। শেষ ৪০ বছর ধরে তাঁকে দেখে করুণা করে লোকজন ভিক্ষা দিয়ে যান। ভিক্ষা করে পাওয়া টাকা যত্রতত্র খরচা করে উড়িয়ে দিয়েছেন, এমন নয়। বিনিয়োগ করেছেন একাধিক জায়গায়। সেই বিনিয়োগ থেকেও টাকা পাচ্ছেন একাধিক। কোটিপতি বানাতে এই রোজগারই যথেষ্ট।
সোনার চামচ নিয়ে মোটেও জন্মাননি এই ব্যক্তি। একটা সময় ছিল খাবার জোগাড় করতে নাভিশ্বাস উঠত পরিবারের। সকলের মুখে খাবারও উঠত না। সেই কপালই একটু বড় হতে পাল্টে ফেলেন তিনি। শুরু করেন ভিক্ষা করা।
একবার নজর দেওয়া যাক ভরত জৈনের সম্পত্তি ও বিনিয়োগের তালিকায়। তাঁর মুম্বইয়ে দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে। যার মূল্য বর্তমানে ১.৫ কোটি টাকা। তাঁর একটিতে ভরত স্ত্রী, দুই সন্তান, বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে থাকেন। থানেতে তাঁর দু’টি দোকান রয়েছে। যা ভাড়া দিয়ে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করেন। এছাড়া পৈত্রিক একটি ব্যবসা রয়েছে। স্টেশনারি দোকান রয়েছে মুম্বইতে তাঁদের। সেই ব্যবসা থেকেও আয় হয়।
প্রতিদিন শুধুমাত্র ভিক্ষা করে ২৫০০-৩০০০ টাকা আয় করেন ব্যক্তি। ছেলেদের ছোট থেকে পড়িয়েছেন মুম্বইয়ের বড় কনভেন্ট স্কুলে। বর্তমানে পড়াশোনা শেষ করে দুই ছেলেই স্টেশনারি দোকান চালাচ্ছেন। ব্যবসা করেই আগামীদিন সম্পত্তির পরিমাণ আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে দু’জনের।
যদিও এত টাকা আয়ের পর এখন আর জৈন পরিবার চায় না ভরত কাজ করুন। কিন্তু এই ৪০ বছরের পেশা ছাড়তে রাজি নন এই ভিক্ষুক। তাঁর কথায়, ‘ভিক্ষা করতে আমার ভাল লাগে, আমি এই কাজ করে আনন্দ পাই। এটা ছাড়ব না।’
তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন