রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম বছর ২০২৪। সম্প্রতি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বিজ্ঞানীরা এই তথ্য জানিয়েছেন। একইসঙ্গে স্বাভাবিকের তুলনায় গরম বজায় থাকবে ২০২৫ সালের শুরুর দিকের কয়েকটা মাসেও।
এই বছর শেষ হতে বাকি আর মাত্র একটা মাস। তার আগেই এই তথ্য প্রকাশ করল কোপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসের তরফে। বছরের শুরু থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তাপমাত্রার তথ্য বিশ্লেষণ করে এই বিষয়টি জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
শিল্প যুগ শুরু হওয়ার আগে অত্যধিক গরম ছিল পৃথিবীতে। এবার ছাপিয়ে গিয়েছে সেই হিসেবকেও। এই বছরের গড় তাপমাত্রা ছিল সেই সময়কার চেয়েও উষ্ণ, স্বাভাবিকের তুলনায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ হিসেবে দুটি কারণকে বলা হয়েছে। প্রথমত বিভিন্ন মহাদেশগুলোর তাপমাত্রা বাড়ছে ক্রমাগত। পাশাপাশি সমুদ্র তলের উষ্ণতাও বাড়ছে। তারই প্রভাব পড়ছে জলবায়ুতে। কোপার্নিকাস জলবায়ু গবেষক জুলিয়েন নিকোলাস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মূলত কার্বন-ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনো অক্সাইড নির্গমনের ফলেই বাড়ছে দূষণের পরিমাণ। ২০২৪ সালে পৃথিবীবাসী সাক্ষী থেকেছে বিশ্বজুড়ে খরা, বন্যা, মারাত্মক তাপপ্রবাহের।
ইতালি এবং দক্ষিণ আমেরিকায় হয়েছে ভয়ঙ্কর খরা। নেপাল, সুদান এবং ইউরোপে হয়েছে বিধ্বংসী বন্যা। মেক্সিকো, মালি এবং সৌদি আরবে তাপপ্রবাহ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ফিলিপাইনে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। এসবের কারণে হাজার হাজার মানুষ মারা গিয়েছে।
এবারের উষ্ণতম বছরের জের পোহাতে হবে ২০২৫ সালে গিয়েও। বছরের প্রথম কয়েক মাস স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি তাপমাত্রা থাকবে। তবে কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে যদি লা নিনা হয় এমনটাই অভিমত বিজ্ঞানীদের।
নইলে পৃথিবী মুখোমুখি হতে পারে ভয়ঙ্কর তাপপ্রবাহ, খরা, দাবানল এবং গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের। প্রসঙ্গত, এই বছরের নভেম্বর মাস গবেষণায় দ্বিতীয় উষ্ণতম নভেম্বর হিসেবে উঠে এসেছে। সবচেয়ে উষ্ণতম মাস ছিল ২০২৩ সালের নভেম্বর মাস।
তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন