মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
ডা. এমএ খালেক:
আজ বিশ্ব হাইপারটেশন দিবস। ওয়ার্ল্ড হাইপারটেনশন লীগ (WHL) ও ওয়ার্ল্ড হাইপারটেনশন সোসাইটি (WHS) বিশ্বজনতার মাঝে উচ্চ রক্তচাপজনিত স্বাস্থ্য সমস্যা, প্রতিকার ও প্রতিরোধ কীভাবে করা যায় সে সর্ম্পকে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়ে প্রতিবছর ১৭ মে দিবসটি বিশ্বব্যাপি ২০০৫ হতে পালন করে আসা হচ্ছে। বিশ্বের প্রায় ১ বিলিয়ন মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে। উচ্চ রক্তচাপ শনাক্তকরণে সঠিকভাবে রক্তচাপ মাপা নির্ণয় করা অত্যন্ত জরুরি। যদি নিখুঁতভাবে রক্তচাপ মাপা না হয় তাহলে উচ্চরক্তচাপ চিহ্নিতকরণ ব্যাহত হবে। সেই প্রেক্ষাপটে বিশ্ব হাইপারটেনশন লীগ বিগত ৫ বছর ধরে একই স্লোগান নিয়ে বিশ্বের সব প্রান্তের জনগোষ্ঠীকে বিশেষভাবে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে নিখুঁতভাবে রক্তচাপ মাপার তাগিদে দেওয়া হচ্ছে। বিশ্ব হাইপারটেনশন দিবসে এবারেরও প্রতিপাদ্য শ্লোগান হচ্ছে- ‘Measure your blood pressure accurately, control it & live longer’ (আপনার রক্তচাপ নিখুঁতভাবে মাপুন, একে নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং দীর্ঘজীবী হোন)। কাজেই এই দিবস পালনের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্বব্যাপী সঠিকভাবে উচ্চ রক্তচাপ নির্ণয়, শনাক্তকরণ ও এর প্রতিরোধে জন উদ্বুদ্ধকরণ।
হাইপারটেনশনকে সাধারণভাবে হাই ব্লাড প্রেসার (high blood pressure) বলেই আমরা চিনি ও জানি। ব্লাড প্রেসার কী তাহলে আগে জানা দরকার। মানবদেহের হৃৎপিন্ড বা হার্ট হচ্ছে দেহের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে রক্ত চলাচলের কেন্দ্রবিন্দু যার সংকোচন ও সম্প্রসারণে (হার্টবিট) রক্ত সঞ্চালিত হয়। রক্তনালির মধ্যে প্রবাহিত রক্তের পার্শ্বচাপ যা হৃৎপিন্ডের সংকোচন ও প্রসারণে তৈরি হয় সেটিই হলো রক্তচাপ। ব্লাড প্রেসারকে দুইভাবে প্রকাশ করা হয়- সিস্টোলিক ব্লাড প্রেসার ও ডায়াস্টোলিক ব্লাড প্রেসার।
সঠিকভাবে রক্তচাপ মাপার জন্য আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজি, আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ হাইপারটেনশন সংস্থাসমূহ ২০১৭ সালে কিছু সুপারিশ ও দিক নির্দেশনা দিয়েছেন সেগুলো হলো –
* রোগীকে সঠিকভাবে প্রস্তুত করতে হবে
* রোগীকে কমপক্ষে ৫ মিনিট আরাম করে চেয়ারে বসতে হবে পা মাটিতে লাগিয়ে।
* রক্তচাপ মাপার আধা ঘন্টার মধ্যে কোন রকমের কফি বা চা পান, ধুমপান বা ব্যায়াম বা পরিশ্রমের কাজ করতে পারবে না।
* প্রস্রাবের বেগ নিয়ে রক্তচাপ মাপা যাবে না, তাই রক্তচাপ মাপার আগে প্রস্রাবের থলি খালি করতে হবে।
* রক্তচাপ মাপার মেশিনের কাফ লাগানোর জায়গায় অর্থাৎ বাহুতে কোন কাপড় রাখা যাবে না, সব ধরনের কাপড় সরাতে হবে।
* বিশ্রাম বা আরাম করার সময় অথবা রক্তচাপ মাপার সময় রোগী বা চিকিৎসক বা যিনি রক্তচাপ মাপবেন কেউ কোন ধরনের কথা বলতে পারবেন না।
* রক্তচাপ মাপার সঠিক টেকনিক বা পদ্ধতি মানতে হবে।
* রক্তচাপ মাপতে সঠিক রক্তচাপ মেশিন ব্যবহার করতে হবে । মেশিনটি মাঝে মাঝে ক্যলিব্রেট করতে হবে অর্থাৎ অন্য মেশিনের মাপের সাথে মিলিয়ে দেখতে হবে।
* রোগীর যে বাহুতে রক্তচাপ মাপা হবে সে বাহু অবশ্যই টেবিল বা ডেস্কের উপর রাখতে হবে।
* রক্তচাপ মাপার মেশিনের কাফ সহ রোগীর বাহু অবশ্যই বুকের মাঝ বরাবর রাখতে হবে।
* রক্তচাপ মাপার মেশিনের সঠিক মাপের কাফ সাইজ ব্যবহার করতে হবে। কাফের ভিতরে যে ব্লাডার বা বাতাসপূর্ণ হবার থলি থাকে তা অবশ্যই বাহুর ৮০ ভাগের বেশী প্রস্থের জায়গা পূর্ণ করতে হবে। উপযুক্ত কাফ সাইজের চেয়ে ছোট বা বড় কাফ সাইজ রক্তচাপ মাপার ক্ষেত্রে ব্যবহার করলে তা লিপিবদ্ধ রাখতে হবে।
* রক্তচাপ মাপার ক্ষেত্রে স্টেথোস্কোপ দিয়ে শব্দ শোনার জন্য ডায়াফ্রাম বা বেল অর্থাৎ যে কোন পাশ ব্যবহার করা যায়।
* উচ্চ রক্তচাপ নির্ণয় ও সঠিক চিকিৎসার জন্য সঠিক রক্তচাপ মাপা জরুরি –
* প্রথমবার রক্তচাপ মাপার সময় অবশ্যই দুই হাতের রক্তচাপ দেখতে হবে এবং যে হাতের রক্তচাপ বেশি ওই মান লিপিবদ্ধ করতে হবে। ভবিষ্যতে ওই হাতে রক্তচাপ মাপতে হবে।
* ১-২ মিনিট পর আবার রক্তচাপ মাপতে হবে।
* সঠিকভাবে রক্তচাপ মাপের ক্ষেত্রে প্রথমে সিস্টোলিক রক্তচাপ প্যালপেটরি পদ্ধতিতে নির্ণয় করতে হবে অর্থাৎ রেডিয়াল ধমনির উপর আঙ্গুল রেখে রক্তচাপ মাপার মেশিনের কাফ বাতাসপূর্ণ করতে হবে ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ না রেডিয়াল ধমনি অনুভব করা না যায় অর্থাৎ রেডিয়াল পালস হারিয়ে যায়, এটাই সিস্টোলিক রক্তচাপ। অস্কালটেটরি পদ্ধতিতে অর্থাৎ স্টেথোস্কোপ দিয়ে সিস্টোলিক ও ডায়াস্টোলিক দুই রক্তচাপ মাপার ক্ষেত্র প্যালপেটরি পদ্ধতিতে যে সিস্টোলিক রক্তচাপ পাওয়া গেল তা থেকে ২০-৩০ মিমি পারদ বেশি রক্তচাপ মাপার মেশিনের কাফ ফুলাতে হবে।
* অস্কালটেটরি পদ্ধতিতে অর্থাৎ স্টেথোস্কোপ দিয়ে রক্তচাপ মাপার ক্ষেত্রে আস্তে আস্তে অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে ২ মিমি পারদ করে কমাতে হবে এবং করোটকো শব্দের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
* সঠিকভাবে মাপা রক্তচাপ সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করতে হবে
* সিস্টোলিক ও ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ দুটোই সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করতে হবে। রক্তচাপ মাপার ক্ষেত্রে যদি অস্কালটেটরি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় তবে সিস্টোলিক রক্তচাপ নির্ণয়ের জন্য প্রথম করোটকো শব্দ ও ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে করোটকো শব্দ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার সময়কালীন মানের নিকটতম জোড় সংখ্যা লিপিবদ্ধ করতে হবে।
* রক্তচাপ মাপাকালীন রোগী যদি কোন উচ্চ রক্তচাপ নির্ণয়ের ওষুধ খায় তবে তা লিপিবদ্ধ করতে হবে।
মানুষের দেহে স্বাভাবিক রক্তচাপ কত ও কখন এটিকে উচ্চরক্তচাপ বলবেন আর উচ্চরক্তচাপ কী ক্ষতি করে তা আমাদের সবার ধারণা থাকতে হবে। আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলোজি ও আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন ১২০/৮০ মি.মি. পারদকে স্বাভাবিক (Normal) প্রেসার হিসাবে চিহিৃত করেছে আর ইউরোপিয়ন সোসাইটি অব কার্ডিলোজি (ESC) ও ইউরোপিয়ন সোসাইটি অব হাইপারটেনশন (ESH) ১৩০/৮০ মি.মি. পারদকে স্বাভাবিক রক্তচাপ বলছে। আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলোজি/আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন ১৩০/৮০ মি.মি. পারদকে উচ্চ রক্তচাপ বলেছে। ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব হাইপারটেনশন বলেছে ১৪০/৯০ মি.মি. পারদকে। উচ্চ রক্তচাপ নির্ণয়ের জন্য অফিস ব্লাড প্রেসার রেকর্ড, হোম ব্লাড প্রেসার রেকর্ড এবং ২৪ ঘণ্টার ব্লাড প্রেসার রেকর্ড করার পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। অফিস ব্লাড প্রেসার রেকর্ডের সাথে হোম ব্লাড প্রেসার রেকর্ড অথবা ২৪ ঘণ্টার ব্লাড প্রেসার যেকোনো একটির সমন্বয় করে উচ্চ রক্তচাপ ডায়াগনোসিস করা হয়।
হাই ব্লাড প্রেসার আপনার কি ক্ষতি করে ?
উচ্চ রক্তচাপের কারণে বিভিন্ন ধরনের হৃদরোগ বিশেষভাবে হার্ট অ্যাটাক বা মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন, হঠাৎ মৃত্যু, হার্ট ফেলিউর ইত্যাদি মারাত্মক জটিলতা হতে পারে। ব্রেন স্ট্রোক বা প্যারালাইসিস, চোখের মধ্যে রক্তক্ষরণ হয়ে অন্ধত্ব এবং কিডনি ফেলিউর বা কিডনি অকেজো হয়ে যেতে পারে।
কী করে বুঝবেন হাইপ্রেসার হয়ছে?
উচ্চ রক্তচাপ অধিকাংশ সময় লক্ষণবিহীন থাকে, প্রেসারের এই অবস্থা খুবই মারাত্মক। কারণ হলো কোনো লক্ষণ থাকলে মানুষ সচেতন হতে পারে, বুঝতে পারে, চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে পারে। প্রেসার নিয়ন্ত্রণের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করার সময় পায় এবং চিকিৎসা নিয়ে থাকে। আর উপসর্গবিহীন থাকলে হঠাৎ মারাত্মক জটিলতা তৈরি হয়ে জীবন বিপন্ন ঘটে যায় এবং চিকিৎসা নেওয়ার ফুরসতও পায় না। আর এজন্য এবারের স্লোগানে বলা হচ্ছে- ‘আপনার রক্তচাপ জানুন, নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং সুস্থ জীবন উপভোগ করুন।’ উচ্চ রক্তচাপকে বলা হয় silent killer বা নীরব ঘাতক।
বিগত পাঁচ বছরে বিশ্ব হাইপারটেনশন দিবসের উদ্দেশ্যই ছিলো বিশ্ব জনগোষ্ঠী যেন তার ব্লাড প্রেসারটা জানে বা নিয়মিত চেক করে। উচ্চ রক্তচাপের সাধারণ উপসর্গ হচ্ছে মাথা ব্যথা, ঘাড় ব্যথা, মাথা চক্কর দেয়া, দৃষ্টির ঝাঁপসা, বমিভাব, অজ্ঞানভাব, বুক ধড়ফড় করা, বুক ব্যথা বা চাপ, নাক দিয়ে রক্তঝরা, প্রসাবে রক্ত আসা, ঘুম কমে যাওয়া, অস্থিরতা, স্মৃতি শক্তির হ্রাস, হয়রান ভাব, অল্প পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
এই মুহূর্তে আমাদের দেশে ও বিশ্বব্যাপি উচ্চ রক্তচাপের রোগীর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। গ্লোবালাইজেশন বা বিশ্বায়নের এই সময়ে মানুষের বিভিন্ন যোগাযোগের মাধ্যম ও উন্নয়ন কর্মকান্ডের ব্যাপ্তি যেমন ঘটেছে সাথে সাথে বেড়েছে মানসিক দুশ্চিন্তা, চাপ ও স্ট্রেস। দৈনন্দিন জীবন যাপনে ঘটেছে অনিয়ম যা কিনা উচ্চ রক্তচাপের অনুঘটক। খাদ্যাভাসের পরিবর্তনের সাথে সাথে অলস জীবন যাপনও অনেক দায়ী উচ্চ রক্তচাপের কারণ হিসাবে। উচ্চ রক্তচাপ একটা নীরব ঘাতকব্যাধি, এজন্য যে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের একটি উচ্চমাত্রার ঝুঁকি ফ্যাক্টর বা কারণ। এক বিরাট সংখ্যক জনগোষ্ঠী যার হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক ঘটে গেছে কিন্তু তারা জানে না যে পূর্বে তাদের হাইপ্রেসার ছিলো যা কিনা হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের পর চিহ্নিত হয়। একটি পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে বিশ্বের প্রায় এক বিলিয়ন মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে যার প্রায় অর্ধেকই তাদের হাইপ্রেসার হয়েছে সে সম্পর্কে সচেতন নয় বা জানা ছিল না।
উচ্চরক্তচাপ দু’ধরনের প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি। প্রায় ৯৫ ভাগ হচ্ছে প্রাইমারি বা essential হাইপারটেনশন যার কোনো কারণ জানা যায় না। আর ৫-১০ ভাগ হচ্ছে সেকেন্ডারি হাইপারটেন- যার কারণগুলি হচ্ছে কিডনির রক্তনালির সংকোচন, কিডনির প্রদাহ ও কিডনি ফেলিউর। এন্ডোক্রাইন গ্রন্থির রোগ যেমন থাইরয়েড ডিজিজ, অ্যাড্রেনাল ডিজিজ ও কিছু ড্রাগস। সাধারণতঃ কম বয়স্কদের অতি উচ্চমাত্রার প্রেসার ও ওষুধে সহজে নিয়ন্ত্রণ হয় না। এরকম অবস্থায় সেকেন্ডারি হাইপারটেনশন সন্দেহ করা হয় এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তা প্রমাণিত হয়। তামাক ব্যবহারকারী, ধুমপায়ী, মদ্যপায়ী, স্থুলতা, টেনশন, বংশগতি বা জেনেটিকস, বয়স্ক মানুষ ইত্যাদি প্রাইমারি হাইপারটেনশন তৈরিতে বিরাট ভূমিকা রাখে।
উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে করণীয়
অতিরিক্ত লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন, শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন, শাক-সবজি ও ফলমূল বেশি খান, নিয়মিত শারীরিক ও কায়িক পরিশ্রম করুন, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়মিত মাপুন ও ডায়াবেটিসের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করুন। তামাক ও তামাক জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন, চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতিত ওষুধ পরিবর্তন বা সেবন বন্ধ করবেন না।
আপনার রক্তচাপ মাত্রা জানুন। প্রেসার মাপার জন্য ডিজিটাল প্রেসার মেশিনের আনুমোদন রয়েছে। কাজেই সহজেই নিজেই ঘরে বসে প্রেসার মাপতে পারবেন। স্বাভাবিক প্রেসার হলো সিস্টোলিক ১১০-১৩০ এবং ডায়াস্টোলিক ৬০-৮০ মিমি: পারদ। বিশ^ হাইপারটেশন দিবসের আজকের এই দিনেই শুধু নয় সমগ্র জীবনব্যাপি ঘাতকব্যাধি উচ্চরক্তচাপ বা হাইপারটেশন সম্পর্কে সচেতন থাকুন। উচ্চরক্তচাপের নিয়মিত চিকিৎসা গ্রহণ, এর প্রতিরোধ ও প্রতিকারে সচেতন থাকুন। হার্ট অ্যাটাক ও ব্রেইনস্ট্রোক প্রতিরোধ করে সুস্থ, সুন্দর ও দীর্ঘায়ু হোক সবার কাম্য।
লেখক: অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, কার্ডিওলজি বিভাগ, ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী