রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বীর মুক্তিযোদ্ধা, কবি ও সাংবাদিক মাহাতাব উদ্দিনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের ১৮ মে এই বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুবরণ করেন। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।
মাহতাব উদ্দিন বীর মুক্তিযোদ্ধা, গবেষক, কবি ও সাংবাদিক হিসেবে তাঁর রাজশাহীতে ব্যাপক পরিচিত। তিনি রাজশাহীর গণমানুষের বিভিন্ন লড়াই-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। রাজশাহীতে পূর্ণাঙ্গ টিভি স্টুডিও প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল সদর দপ্তর রাজশাহী থেকে স্থানান্তরের প্রতিবাদে এবং রাজশাহীতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহের দাবিতে আন্দোলন উল্লেখযোগ্য। তিনি ১৯৯১ সালে রাজশাহী থেকে প্রকাশিত দৈনিক সোনার দেশ পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লেখক ছিলেন। এরপর ১৯৯৩ সালে মাহতাব উদ্দিন ‘সাপ্তাহিক গণখবর’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশনার সাথে যুক্ত হন। পত্রিকাটি খুব অল্প সময়ের মধ্যে সুধিজনদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেন। মাহতাব উদ্দিন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গবেষণা কার্যক্রমেও নিজেকে সম্পৃক্ত রাখেন।
মুক্তিযুদ্ধ চর্চা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং তাঁর সম্পাদনায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চারটি গবেষণা জার্নাল প্রকাশিত হয়। ছড়াকার হিসেবেও বোদ্ধামহলে সুপরিচিত ছিলেন। তাঁর মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস ‘উসকো ছোড় দে’ জনপ্রিয়তা লাভ করে। মাহতাব উদ্দিন মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবের সভাপতি ছিলেন। তার মেয়াদ কালে ২০১১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সূর্যোদয়’ নামে একটি স্মরণিকা প্রকাশিত হয়। এক সময় তিনি বাংলাদেশ বেতার রাজশাহীর ‘ক’ শ্রেণির গীতিকার ছিলেন। এ ছাড়া তিনি বহু স্মারক সম্পাদনা করেছেন। তিনি বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও সমাজসেবামূলক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।
মাহতাব উদ্দিন মুক্তিযোদ্ধা হলেও তিনি সরকারি ভাতা গ্রহণ করতেন না। তিনি বলতেন, মুক্তিযুদ্ধ করেছি দেশের জন্য, অর্থ ও সুবিধা লাভের জন্য নয়।