তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্যে নগরীতে এসিডির তথ্য অধিকার বুথ ক্যাম্প

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:ইউএসএআইডি’র আর্থিক এবং দ্যা কার্টার সেন্টারের কারিগরী সহযোগিতায় এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট-এসিডির আয়োজনে ‘বাংলাদেশে তথ্য প্রাপ্তির অধিকারে নারীর অগ্রগতি প্রকল্প’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় রাজশাহীর ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিস প্রাঙ্গণে তথ্য অধিকার বুথ ক্যাম্প আয়োজন করে।

বুথ ক্যাম্প মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকাল ৩টায় সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর নারী ও যুবা নারীদের তথ্যে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে প্রকল্প সমন্বয়কারী সুব্রত কুমার পালের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী পর্বে মহিলা কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মো. শফিকুল ইসলাম, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর রাজশাহী অফিসের সহকারি পরিচালক মোহা. আলম আলী, মহিলা বিষযক অধিদপ্তরের বিকল্প তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা মো. নওশাদ আলী, সমাজসেবা অধিদপ্তরের বিকল্প তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামবক্তব্য রাখেন।

বুথ ক্যাম্প কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ৬ টি সরকারি প্রতিষ্ঠান যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, সমাজসেবা অধিদপ্তর, মহিলা কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রাজশাহী এবং রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ৫ ও ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিস তাদের কার্যক্রম তুলে ধরেন এবং তথ্য অনুরোধের প্রেক্ষিতে লিখিত তথ্য প্রদান করেন। এসময় দ্যা কার্টার সেন্টারের পক্ষে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন তথ্য বন্ধু সাবরিনা নাজ।

তথ্য সংগ্রহ বুথ ক্যাম্প স্থাপনের মাধ্যমে সরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা বৃদ্ধি এবং নারীদের তথ্যে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এই আয়োজন করা হয়। বুথ ক্যাম্প কর্মসূচি চলাকালে তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী ৩১টি আবেদন জমা পড়ে এবং তৎক্ষাৎ উত্তর পাওয়া যায়। বুথ ক্যাম্পের কর্মসূচিতে ৫ এবং ৬ নং ওয়ার্ডের পিছিয়ে পড়ার জনগোষ্ঠীর একটি বিশেষ অংশ উপস্থিত ছিলেন। এসময় কমিউনিটির ৯৪ জন নাগরিক উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা এ সময় বলেন, প্রান্তিক মানুষের অবস্থার ও জীবনমান উন্নয়ন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য নিশ্চিতে তথ্য অধিকার আইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি কর্মসূচির মাধ্যমে তথ্য প্রাপ্তিতে নারীদের অধিকতর সক্ষম করে তোলা, জাতীয় ও কর্ম এলাকার স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সমূহকে কার্যকর এবং শক্তিশালী করার পাশাপাশি তথ্যে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি ও ব্যবহারে নাগরিক সমাজ সংগঠন ও তথ্য অধিকার নেটওয়ার্ক সমূহকে শক্তিশালীকরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।