মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা
রাবি প্রতিবেদক:
সরকারি ১ম ও ২য় শ্রেণির চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের রায় বাতিল ও কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে ছাত্র সমাবেশ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।
এরপর বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে এগারোটা থেকে দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের মহাসড়কে অবস্থান নেয় তারা। এরপর মিছিল নিয়ে কাজলা গেট হয়ে প্যারিস রোডে এসে আন্দোলন শেষ করেন শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে প্যারিস রোডে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে শিক্ষার্থীরা। বেলা পৌনে এগারোটার দিকে প্যারিস রোডের পরিবর্তে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। এসময় হঠাৎ মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টি উপেক্ষা করে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে কোটা বিরোধী স্লোগান দিতে থাকে।
এ সময় ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘মেধাবীদের কান্না, আর না আর না’, ‘কোটা প্রথায় নিয়োগ পেলে, দুর্নীতি বাড়ে প্রশাসনে’, ‘দেশটা নয় পাকিস্তান, কোটার হোক অবসান’, ‘কোটা বৈষম্য নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘মেধাবীদের যাচাই কর, কোটা পদ্ধতি বাতিল কর’, ‘১৮ এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘বৈষম্যের বিরুদ্ধে, লড়াই হবে এক সাথে’, ‘মেধা না কোটা, মেধা মেধা’সহ বিভিন্ন স্লোগান ও প্ল্যাকার্ডে প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা।
অবস্থান কর্মসূচি থেকে চারদফা দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবিগুলো হলো- ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে সরকারি চাকুরিতে কোটাপদ্ধতি সংস্কার করতে হবে ও কোটায় প্রার্থী না পাওয়া গেলে মেধাকোটায় শূন্যপদ পূরণ করতে হবে, ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় সব ধরনের সরকারি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় একবার কোটা ব্যবহার করতে পারবে ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবে, প্রতি জনশুমারির সাথে অর্থনৈতিক সমীক্ষার মাধ্যমে বিদ্যমান কোটার পুনর্মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে হবে এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
অবস্থান কর্মসূচিতে রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সদস্য সচিব আমানুল্লাহ খান বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের মত জ্ঞান আমাদের নেই। কিন্তু আমরা জানি, ১ শতাংশের কম জনসংখ্যার জন্য ৩০ শতাংশ কোটা অন্যায্য। এটুকু বুঝতে হলে ন্যায়শাস্ত্র পড়ার প্রয়োজন নেই। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করতে ঘটনাস্থলে আসেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ফরিদ উদ্দিন খান।