রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি হামলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছে অন্তত ৭৩ জন। রোববার দিবাগত রাত থেকে সোমবার ভোরের মধ্যে এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর রয়টার্সের।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রথমে জঙ্গিরা পুলিশ স্টেশন, রেললাইন এবং হাইওয়েতে হামলা চালায়। পরে নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা অভিযান চালায়।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি বলেছেন, ‘এই হামলাগুলো পাকিস্তানে নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য একটি সুচিন্তিত পরিকল্পনা।’
বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, জঙ্গিদের হামলায় ৩৮ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
রোববার রাতে সশস্ত্র জঙ্গিরা মহাসড়কে বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে, তাদের পরিচয় পত্র দেখে অন্তত ২৩ জনকে গুলি করে হত্যা করে। এছাড়া তারা অন্তত ৩৫টি যানবাহনে আগুন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের একজন সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট আইয়ুব আচাকজাই।
ওই এলাকার ডেপুটি কমিশনার হামিদ জহির বলেন, জঙ্গিরা শুধু যাত্রীদেরই হত্যা করেনি। কয়লা বহনকারী ট্রাকের চালকদেরও হত্যা করেছে।
বিশেষ করে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় পাঞ্জাব প্রদেশের কর্মীদের হত্যা করেছে তারা। পাঞ্জাবীদেরকে সম্পদের শোষক গোষ্ঠী হিসেবে মনে করে জঙ্গিরা।
প্রাদেশিক রাজধানী থেকে পাকিস্তানের বাকি অংশের সঙ্গে সংযোগকারী রেলওয়ে সেতুতে বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। এতে কোয়েটার সঙ্গে রেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। হামলাস্থল থেকে ছয়জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এছাড়া বেলুচিস্তানের সবচেয়ে কম জনবহুল এলাকার একটি পুলিশ ও নিরাপত্তা স্টেশনে হামলা চালিয়ে অন্তত ১০ জনকে হত্যা করেছে তারা।
এসব হামলার দায় স্বীকার করেছে সশস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠী বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। আগামীতে আরও হামলার হুমকি দিয়েছে তারা।
সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অভিযান শুরু হয়। এতে ২১ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়। প্রাণ হারায় নিরাপত্তা বাহিনী ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ১৪ সদস্য।
তথ্যসূত্র: রাইজিংবিডি