বেড়েছে চাউল, চিনি ও গুড়া দুধের দাম

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৭, ১২:০১ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক


রাজশাহীর বাজারগুলোতে বেড়েছে চাউল, চিনি ও গুড়া দুধ এবং তেলের দাম। তবে স্বাভাবিক রয়েছে মাছ মাংশ ও সবজির দাম। বাজরে সবধরণের চাউলের দাম প্রতিকেজিতে দুই টাকা থেকে চার টাকা পর্যন্ত এবং গুড়া দুধের দাম প্রতিটি পাঁচশ গ্রামের প্যাকেটে ৩০ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে আর সোয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে লিটারে ৫ টাকা পর্যন্ত।
গতকাল শুক্রবার সকালে নগরীর সাহেববাজার মাস্টারপাড়ার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে চিকন স্বর্ণা চাল প্রতিকেজি ৩৪ টাকা দরে বিক্রি হলেও গতকাল শুক্রবার তা বিক্রি হয় প্রতিকেজি ৩৬ টাকা দরে। গুটি স্বর্ণা চাল গত সপ্তাহে প্রতিকেজি ৩২ টাকা বিক্রি হলেও গতকাল তা বিক্রি হয় ৩৪ টাকা। এছাড়াও আটাশ চাল প্রতিকেজিতে চার টাকা বেড়ে ৪৬ টাকা, মিনিকেট চাল ৪৭ টাকা থেকে তিন টাকা বেড়ে ৫০ টাকা, বাসমতি চাল গত সপ্তাহে প্রতিকেজি ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হলেও প্রতিকেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা, চিনিগুড়া আতব চাল গত সপ্তাহে প্রতিকেজি ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হলেও গতকাল তা প্রতিকেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা দরে প্রতিকেজি বিক্রি হয়। তবে আটা অপরিবর্তিত রয়েছে। আটা প্রতিকেজি ২২ টাকা থেকে ২৩ টাকা দরে বিক্রি হয়।
চালের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে চাল বিক্রেতা আব্দুল লতিফ বলেন, ধানের দাম বাড়তি হওয়ায় বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
সাহেববাজার মাস্টারপাড়ার সবজি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে যে এ সপ্তাহে বাজারে কাঁচা মরিচ ও রসুন ছাড়া সবধরণের শাক-সবজির দাম স্বাভাবিক রয়েছে। বাজারে আমদানি ঠিক থাকায় সবাজির দাম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে কাঁচামরিচ ও রসুনের সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেড়েছে বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।
সবজি ব্যবসায়ী আলম বলেন, কাঁচামরিচ গত সপ্তাহে প্রতিকেজি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হলেও গতকাল শুক্রবার তা প্রতিকেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয় আর রসুন গত সপ্তাহে ১০০ টাকা দরে প্রতিকেজি বিক্রি হলেও গতকাল তা বিক্রি হয় প্রতিকেজি ১২০ টাকা দরে। এছাড়া শশা প্রতিকেজি ২০ টাকা, ফুলকপি ১৫ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, ছিম ১৫ টাকা, কল্লা ৮০ টাকা, বেগুন ২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২০ টাকা, বাধাকপি প্রতিপিচ ৫ টাকা, লাউ প্রতিপিচ ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা, আলু প্রতিকেজি ১২ টাকা, পিঁয়াজ ১৮ টাকা, আদা ৬০ টাকা, কাঁচাপেপে ১৫ টাকা, ফুলকা প্রতি আটি ৫ টাকা, গাজর প্রতিকেজি ১৫ টাকা আর কাঁচা কলা প্রতি হালি ১০ টাকা থেকে ১২ টাকা দরে বিক্রি হয়। এদিকে লাল শাক ও সবুজ শাক প্রতিকেজি ১৫ টাকায়, পালং শাক প্রতিকেজি ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকায় আর কলমির শাক প্রতিকেজি বিক্রি হয় ২০ টাকা দরে।
এদিকে মুদির ব্যাবসায়ীরা জানান, বাজারে গুড়া দুধ ও তেলের দাম বেড়েছে। বাজারে বর্তমানে প্রতিলিটার খোলা সোয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৮৮ টাকায়, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৮৬ টাকা দরে আর বোতলজাত সোয়াবিন তেল প্রতিলিটার বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা দরে, যার গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৯৫ টাকা দরে।
এছাড়াও বাজারে দেশি মটর ডাল প্রতিকেজি ১৮০ টাকা, মসুর ও মুগ ডাল ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা, বুটের ডাল অষ্ট্রেলিয়ান প্রতিকেজি ১০০ টাকা আর দেশি ১২০ টাকা, কালাই ডাল ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাংশ বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিকেজি গরুর মাংশ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা থেকে ৪৪০ টাকায় আর খাশির মাংশ ৭০০ টাকা থেকে ৭২০ টাকা দরে। এদিকে সোনালি মুরগি ২১৫ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৩৫ টাকা, দেশি মুরগি ৩০০ টাকা থেকে ৩১০ টাকা আর লেয়ার মুরগি ২০০ টাকা দরে প্রতিকেজি বিক্রি হয়। এছাড়াও প্রতিহালি মুগির সাদা ডিম ২৬ টাকা দরে আর লাল ২৮ টাকা দরে বিক্রি হয়।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ