বৈঠকের মধ্য দিয়ে যে উপলব্ধি

আপডেট: জুন ৩, ২০২৪, ১২:১০ পূর্বাহ্ণ

১৪ দলের প্রয়োজন আছে


মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল ও মানুষের ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়ে যায় নি। বারবার এই সত্য সামনে এসেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী শক্তি যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের শক্তি-সমার্থের চর্চা অব্যাহত রাখবে ততদিন ঐক্যের প্রয়োজনীয়তাও থাকবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঐক্যের প্রয়োজনটা যথার্থভাবেই উপলব্ধি করেছেন। এবং তাঁর এটি সময়ের দাবির প্রতিও ঐকমত্যের প্রকাশ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বাম-গণতান্ত্রিক শক্তি হিসেবে ১৪ দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে এবং রাখছেও।

সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ১৪ দলের লড়াই-সংগ্রামের ভূমিকা কোনোভাবেই অস্বীকার করা যায় না। মাঝখানে ১৪ দলের মরিক দলের সাথে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের টানাপোড়েন তৈরি হয়েছিল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন বণ্টন নিয়ে ক্ষোভ দানা বাঁধে শরিক দলগুলোর সাথে। নির্বাচনের পর দীর্ঘদিন বৈঠকও হয়নি। এতে প্রশ্ন ওঠে, ১৪ দলীয় জোট কি আছে? খোদ জোটনেত্রী শেখ হাসিনাকেও সেটির উত্তর দিতে হয়। এরপর গত ২৩ মে ১৪ দলের বৈঠকে সব ক্ষোভ উগরে দেন জোট শরিকরা।

জোটনেত্রী শেখ হাসিনা সবার বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনেন, চেষ্টা করেন ক্ষোভ প্রশমনের। জোটগত পথচলার প্রয়োজন তুলে ধরে ঐক্যবদ্ধ থাকার ওপর জোর দেন তিনি। ১৪ দলের কতটা প্রয়োজন তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যেই পরিষ্কার ফুটে ওঠে।

১৪ দলের দীর্ঘদিনের পথযাত্রায় কিছু সমস্যা আছে, কিছু ভুল বোঝাবুঝি ও দূরত্ব আছে। ১৪ দলের দরকার আছে কি নেই, সে ব্যাপারটা এই বৈঠকের (২৩ মে) মধ্য দিয়ে আপাতত নিষ্পত্তি হয়েছে। বলা হয়েছে, ১৪ দলের দরকার আছে। দ্বিতীয়টা হচ্ছে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সব কিছু বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে সামনের দিকে এগোতে হবে। সে রকম একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। সামনের দিকে আরও উপর্যুপরি বৈঠক হবে। তার ভিত্তিতে একটা কাজের পদ্ধতি নির্ধারণ হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ