ব্যস্ততা নেই ছাপাখানা, ডিজিটাল প্রিটিং প্রেস ও সাউন্ড সিস্টেমের দোকানে

আপডেট: ডিসেম্বর ২০, ২০২৩, ১০:৪০ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:


প্রতীক বরাদ্দের তিনদিনেও ব্যস্ততা বাড়েনি ছাপাখানা, ডিজিটাল প্রিটিং প্রেস ও সাউন্ড সিস্টেমের (মাইক) দোকানগুলোতে। ফলে গতানুগতিক কাজগুলো করছেন তারা। যদিও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আগাম প্রস্তুতি ছিল তাদের। তবে প্রত্যাশা মতো সাঁড়া না পাওয়ায় হতাশ বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

সরেজমনি রাজশাহী নগরীর কয়েকটি ছাপাখানা, ডিজিটাল প্রিন্টিং প্রেস ও সাউন্ড সিস্টেমের (মাইক) দোকানগুলো গিয়ে দেখা গেছে, কাজের চাপ নেই তাদের। তারা বলেছেন, নির্বাচনের কাজ নেই বললেই চলে। যে কাজগুলো আসছে, তা প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম। যদিও তাদের প্রস্তুতি ছিল ভালো। প্রস্তুতি মাফিক তারা কাজ পাচ্ছে না বলে দাবি করেন।

রাজশাহীতে নির্বাচনের মাইক ভাড়া দেন ‘বাংলাদেশ মাইক সার্ভিস’। এটি রাজশাহীর মধ্যে পুরানো সাউন্ড সিস্টেমের দোকান। নির্বাচন আর উৎসব সব অনুষ্ঠানে সাউন্ড সিস্টেমের কাজ পেয়ে থাকেন তারা। গেল রাজশাহী সিটি করপোরেশেনের নির্বাচনের সময়ের কাজের তুলনায় চারভাগের একভাগও কাজ পায়নি তারা। তার দাবি পুরো রাজশাহীর একই চিত্র।

‘বাংলাদেশ মাইক সার্ভিস’র প্রোপ্রাইটর ওয়াহিদুর রহমান রুমেল জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত দুই সপ্তা আগে থেকে সাউন্ড সিস্টেমের মাইকগুলো প্রস্তুত করা হয়। যেগুলোর ছোটখাট সমস্যা ছিল, সেগুলো সারিয়ে তোলা হয়েছে। সবমিলে জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে প্রস্তুতি অনেক ভালো ছিল। কিন্তু সেইভাবে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।

তিনি আরো বলেন, গত সিটি করপোরেশন নির্বাচন বা আগের নির্বাচনগুলোতে মাইকিঙের জন্য অনেক প্রার্থী আগেই ভাড়া নিয়েছিলেন। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে এবারের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভালো প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু সেভাবে সাড়া পাচ্ছি না। আশা করছি আগামি দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে অর্ডার বাড়তে পারে।

একই অবস্থা ডিজিটাল প্রিটিং প্রেসগুলোতে, সেখানেও কাজ নেই। নগরী সাহেববাজারের অ্যাকটিভ ডিজিটাল সাইনের প্রোপ্রাইটর ইব্রাহিম হোসেন বাবু বলেন, কাজ নেই বললেই চলে। দু’জন প্রার্থীর ছোট ব্যানারের কাজ করেছি। সিটি নির্বাচনের চার ভাগের একভাগও কাজ নেই। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১৫ হাজার ফ্রেম বানিয়েছিলাম। সেখানে মাত্র ৪ হাজার ফ্রেম বিক্রি হয়েছে। বাকিগুলো পড়ে আছে। শুধু তাই নয়, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেড়েছে পিভিসি রোলের দাম।

প্রতি রোলে বেড়েছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। বেড়েছে রঙ এর দামও। প্রতি লিটারে বেড়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। যেহেতু নির্বাচনের ১৫ থেকে ১৬ দিন বাুিক। আশা করছি কাজ বাড়তে পারে।

রংধনু অফসেট প্রিন্টিং প্রেসের প্রোপ্রাইটর তাজউল ইসলাম বলেন, নির্বাচনের কাজের তেমন অর্ডার পাওয়া যাচ্ছে না। রাজশাহী-৩ আসনের এক প্রার্থীর হ্যান্ড পোস্টার ছাপানের কাজ করেছি। আশা করছি আরো দুই থেকে তিন দিন পরে কাজের চাপ বাড়তে পারে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ