নিজস্ব প্রতিবেদক:
টানা তিনদিন সাধারণ ছুটি থাকার পর বুধবার (২৪ জুলাই) খুলেছে ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান। চার ঘণ্টা ব্যাংক খোলা থাকায় বেড়েছে লেনদেন। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) টাকা জমা দেওয়ার চেয়ে উত্তোলন বেশি হয়েছে।
বৃহস্পতিবারও ব্যাংকে গ্রাহকদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। চারঘণ্টা লেনদেনে গ্রাহকরা টাকা তুলছেন বেশি। এছাড়াও অনেক গ্রাহক টাকা জমাও দেন। ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, বুধবার ও বৃহস্পতিবার লেনদের চাপ বেশি ছিল। বৃহস্পতিবার টাকা উত্তোলন বেশি হয়েছে।
গ্রাহকরা বলেন, গত কয়েকদিন ইন্টারনেট না থাকায় মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ও ব্যাংকের এটিএম বুথে টাকা সরবরাহ কম থাকায় কাক্সিক্ষত সেবা মেলেনি। এ কারণে ব্যাংকগুলোর শাখায় নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা তুলতে গ্রাহকদের লম্বা লাইন দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্যাংকগুলোর শাখার প্রতিটি সেবা কাউন্টারে উপস্থিত সিংহভাগ গ্রাহকই এসেছেন টাকা উত্তোলন করতে। দু-একজন জমা দিতে এসেছেন। যারা এসেছেন তারাও বিভিন্ন কোম্পানির টাকা জমা দিতে এসেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি ব্যাংকের কর্পোরেট শাখায় টাকা তুলতে এসেছিলেন আবদুল জাব্বার খান। তিনি বলেন, গত কয়েকদিনে নগদ টাকার জন্য বেশ অস্বস্তিতে ছিলাম। এটিএম বুথ থেকেও টাকা তুলতে পারিনি। কয়েকটি বুথ ঘুরে দেখেছি সেখানে টাকা না থাকায় আমার মতো আরও অনেকেই বেশ সমস্যায় পড়েছিলেন। শুক্র ও শনিবার ব্যাংক বন্ধ থাকবে। তাই ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তুলতে এসেছি।
শফিকুল ইসলাম নামে আরেকজন গ্রাহক বলেন, নগদ টাকা সঙ্কটের কারণে নানা সমস্যায় পড়েছি। বাজার করতে পারছিলাম না। ব্যাংক খুলেছে তাই টাকা তুলতে এসেছি। অন্তত কাছে টাকা থাকায় মনে শান্তি পাচ্ছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাংকের ব্যবস্থাপক বলেন, আন্দোলনের কারণে তিন কার্যদিবস ব্যাংক বন্ধ ছিল। এ সময়ে হয়তো অনেক গ্রাহকই তাদের নগদ টাকা কেনাকাটায় শেষ করেছেন। এ কারণে বেশিরভাগ গ্রাহকই টাকা উত্তোলন করছেন।
বুধবার ও বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে তিনটা পর্যন্ত লেনদের ছিল। আগামী রোববার থেকে কতক্ষণ লেনদেন হবে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক।