বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
বহুলকথিত যে, দেশে ব্যাঙের ছাতার মত কিন্ডার গার্টেন স্কুল রয়েছে। ইচ্ছে করলে যে কেউ একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুল খুলে বসতে পারে। এর জন্য মোটেও বেগ পেতে হয় না। তেমনই একটি খবর সংবাদ মাধ্যমে এসেছে।
ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজধানী ঢাকার অলিগলির ফ্ল্যাট বাড়িতে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে ইচ্ছামতো খোলা হচ্ছে কিন্ডারগার্টেন স্কুল (কেজি)। কোনো কোনো স্কুলে পাঠদান করা হচ্ছে প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে গড়ে তোলা এসব স্কুলের লাগাম টানতে কাজ শুরু করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)।
ডিপিই সূত্র জানায়, প্রাথমিক অনুমোদনের ক্ষেত্রে আগের নীতিমালার শর্ত সহজ করার চিন্তাভাবনাও চলছে, যাতে স্কুলগুলো নিয়মের মধ্যে আসতে আগ্রহী হয়। এরই মধ্যে নীতিমালা সংশোধনে গঠন করা হয়েছে একটি সাব-কমিটি। এতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অধীন ডিপিইসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের রাখা হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মন্ত্রণালয় থেকে।
শুধু রাজধানী নয় সারা দেশেই কেজি স্কুলের একই চিত্র। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী দীর্ঘদিন ধরে সারাদেশে বিপুল সংখ্যক কেজি স্কুল অনুমোদন ছাড়াই চলছে। যা শিক্ষা ব্যবস্থায় একধরনের নৈরাজ্যই বলা যায়। কেজি স্কুলগুলো দেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদান রাখছে বটে কিন্তু অনুমোদনহীন স্কুলগুলোতে কোনো ধরনের নিয়মের কারো দায় নেই। এসব স্কুলের শিক্ষকদেন অধিকাংশই নামমাত্র ভাতা পেয়ে থাকে। শিক্ষা কারিকুলামও যচ্ছেতাই ভাবে চালানো হয়। অনুমোদনহীন স্কুলো দ্রুত নিবন্ধনের আওতায় আনা দরকার। সরকারের শর্ত মেনেই এসব স্কুলগুলোকে চালু রাখতে হবে। এরজন্য সরকারের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক মনিটরিঙের ব্যবস্থা থাকা বাঞ্ছনীয়।