শনিবার, ১০ জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২৭ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
দুই অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহায়তা জোট ব্রিকস ও বিমসটেকের মধ্যে সহযোগিতা স্থাপনে তিনটি প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এগুলো হচ্ছে- বিমসটেকভুক্ত দেশে মানসম্পন্ন ও টেকসই অবকাঠামো তৈরি, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের উপর জোর দেয়া এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দুই জোটের মধ্যে সংলাপ আয়োজন।
রোববার ভারতের গোয়ায় ব্রিকস-বিমসটেক আউটরিচ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে শেখ হাসিনা এই প্রস্তাবগুলো দেন।
২০০১ সালে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীনকে নিয়ে গঠিত হয় ‘ব্রিক’। ২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা যোগ দিলে এই জোট ব্রিকস হয়। ‘নিউ ডেভলপমেন্ট ব্যাংক’ নামের একটি ব্যাংকও গঠন করেছে এই জোটটি।
ব্রিকসের আগে ১৯৯৭ সালের জুনে গঠিত হয় চার দেশের অর্থনৈতিক জোট, যার নাম ছিল বিসটেক (বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড অর্থনৈতিক সহযোগিতা)। পরে ওই বছরই মিয়ানমার যোগ দিলে জোটের নতুন নামকরণ হয় বিমসটেক। ২০০৪ সালে নেপাল ও ভুটান এর পূর্ণ সদস্য হয়।
এই দুই জোটের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের উপায় খুঁজতেই গোয়ায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে আউটরিচ সম্মেলন।
সম্মেলনে বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিমসটেক দেশগুলোর এক বড় অংশে মানসম্পন্ন এবং টেকসই অবকাঠামো গড়ে তোলা জরুরি।
এজন্য ব্রিকস দেশগুলোতে কার্যক্রম চালানো ব্যাংকের সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, “স্বল্প আয়ের দেশগুলোর দিকে বিশেষভাবে মনোযোগ দিতে আমি ব্যাংকগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
বাংলাদেশের সরকারপ্রধান বিমসটেক অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও নতুন উদ্ভাবনের প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন।
“টেকসই উন্নয়নের নতুন নতুন উপায় উদ্ভাবনের জন্য ‘দক্ষিণ-দক্ষিণ ও ট্রায়াঙ্গুলার’ সহযোগিতাও গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি বিশ্বাস করি,” বলেন শেখ হাসিনা।
প্রযুক্তির উন্নয়নে ব্রিকস নেতাদের সহযোগিতা আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
বৈশ্বিক অর্থনীতির ব্যাপক অগ্রগতির প্রেক্ষাপটে নিজেদের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দুই জোটের সদস্যদের মধ্যে সংলাপের ওপরও গুরুত্ব দেন শেখ হাসিনা।
বিশ্ববাজারে নিজেদের পণ্যের মান এবং বাজার যাতে তাল মেলাতে পারে, সেজন্যই এটা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের পণ্য ও সেবার মান উন্নয়নে আমরা দুই জোট একসঙ্গে কাজ করতে পারি।” বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক উন্নয়নে তার সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা বিস্তারিত তুলে ধরেন।
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তার ‘জিরো টলারেন্সের’ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার ওপরই উন্নয়ন নির্ভর করে।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধেও দুই জোটের একসঙ্গে কাজ করা উচিত মন্তব্য করে আউটরিচ সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে ব্রিকস-বিমসটেক সহযোগিতার ‘নতুন সংলাপ’ শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।- বিডিনিউজ