রবিবার, ২ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৯ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
নাটোর অফিস
ব্রেন টিইমারে আক্রান্ত রাশিদুল -সোনার দেশ
কত স্বপ্নই না ছিল রাশিদুল ইসলামের দু’চোখে। কিন্তু তার সব স্বপ্নই আজ জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। ব্রেন টিইমারে আক্রান্ত হয়ে তার চিকিৎসা করাতে সহায় সম্বল হারিয়ে দিশেহারা পরিবার। এ অবস্থায় রাশিদুল ইসলামের জীবন বাঁচাতে সহযোগিতা চেয়েছে তার পরিবারটি।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকদের পরামর্শে নাটোর ও রাজশাহীর পপুলার ক্লিনিকে নিয়ে তাকে পরিক্ষা-নিরীক্ষা করানোর পর তার ব্রেন টিইমার ধরা পড়ে। চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে ঢাকার গ্রিন লাইফ হাসপাতাল লিমিটেডের কনসালটেন্ট ডা. সামছুল আলম সবুজ নিউরো সার্জারির অধীনে ২০১৬ নালে প্রথম ধাপে তাকে অপারেশন করা হয়। এ অপারেশনে প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা তাদের খরচ হয়। দ্বিতীয় ধাপে দেশে এ রোগের চিকিৎসার জন্য অপারেশন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বিদেশে চিকিৎসা করানো হলে তার বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা রয়েছে। তবে এ রোগের চিকিৎসা খুবই ব্যয়বহুল। চিকিৎসার প্রাথমিক পর্যায় থেকে শেষ পর্যন্ত প্রায় আরো ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন হবে বলে জানান চিকিৎসকরা। রাশিদুল ইসলামের পরিবারের পক্ষে এই ব্যয়বহুল চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না। চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে গিয়ে ইতোমধ্যে সহায় সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে পরিবারটি।
নাটোর শহরের দক্ষিণ পটুয়াপাড়া মহল্লার বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম রহিম শেখ ছেলে রাশিদুল ইসলাম। ছয় ভাই বোনের মধ্যে সে তৃতীয়। স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে বাঁধাই ব্যবসা করে ভালোই চলছিল রাশিদুল ইসলামের সংসার।
হঠাৎ গত সাত মাস আগে একদিন প্রচণ্ড মাথা ব্যাথা ও বমি শুরু হয় তার। দ্রুত তাকে শহরের সততা ক্লিনিকে নেয়া হয়। সেখানে কর্মরত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. রাসেউল কবীর পরীক্ষা নিরিক্ষা করে ব্রেন টিইমারের বিষয়টি বলেন। চিকিৎসকদের পরামর্শে প্রথমে তাকে রাজশাহী পপুলার ক্লিনিকে এবং পরে ঢাকার গ্রিন লাইফ হাসপাতাল লি. চিকিৎসা করাতে বসবাসের শেষ সম্বল বাড়িটিও বিক্রি হয়ে গেছে। বর্তমানে টাকার অভাবে চিকিৎসা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দুই ধাপে অস্ত্রোপচার করা ও নিয়মিত ঔষধপত্র দেওয়ার এ অসহায় পরিবারের পক্ষে সম্ভম হচ্ছে না।
তাই রাশিদুল ইসলামের জীবন বাঁচিয়ে রাখার আকুল আবেদন জানিয়েছেন তার স্ত্রী- আয়শা আক্তার মিতু ও দুই সন্তান আবির আলিফস পরিবারের অন্য সদস্যরা।
একদিকে ন্বামীর চিকিৎসা, অন্যদিকে সংসারের ব্যয়ভার নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন তারা। এ অবস্থায় রাশিদুল ইসলামের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সকল হৃদয়বান ও বিত্তবান ব্যক্তির আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ্য ওই পরিবার। রাশিদুল ইসলামের চিকিৎসায় সহযোগিতা দিতে সরাসরি যোগাযোগ ০১৭৮৫-৭১৮২৯৫। সাহায্য পাঠানোর চলতি হিসাব নম্বর- ৮৫২৬/৬, জনতা ব্যাংক, পটুয়াপাড়া শাখা নাটোর।