বড়াইগ্রামে কমিটি নিয়ে বিরোধের জেরে ইসলামী জালসা হয় নি

আপডেট: মার্চ ১, ২০১৭, ১:০৬ পূর্বাহ্ণ

বড়াইগ্রাম  প্রতিনিধি


স্থানীয় পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের পূর্বানুমতি নেওয়া সত্বেও আওয়ামীলীগ নেতার নির্দেশে পন্ড হয়ে গেল নির্ধারিত তারিখের ইসলামী জালসা। গতকাল মঙ্গলবার নাটোরের বড়াইগ্রাম পৌরসভাধীন বাটরাগোপালপুর দাখিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। তবে ওই নেতা বড়াইগ্রাম পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মাহাবুব-উল-হক বাচ্চু অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
মাদরাসা সুপার জিয়াউল হক সাবেরী জানান, মাদরাসা কমিটির সভাপতি না থাকায় কমিটির অন্যান্য সদস্য এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের সাথে গত ১০ ফেব্রুয়ারী আলোচনা করে ইসলামী জালসার দিন নির্ধারণ করেন। সে মোতাবেক স্থানীয় পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে সকল আয়োজন শেষ করা হয়। সোমবার সন্ধা থেকে ডেকোরেশানের লোকেরা কাজ শুরু করে। কিন্তু রাতেই অধ্যক্ষ মাহাবুব-উল-হক বাচ্চু তার দলবল নিয়ে মাদরাসা মাঠে হাজির হয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। এইক সাথে জালসা বন্ধের ঘোষনা দেন। পরে মঙ্গলবার সকালে ডেকোরেশনের লোকেরা কাজ বন্ধ করে সব মালামাল ফেরৎ নিয়ে যায়, একই সাথে পূর্ব নির্ধারিত জালসা পন্ড হয়ে যায়।
অধ্যক্ষ মাহাবুব-উল-হক বাচ্চু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বরখাস্তকৃত সুপার আমার নামে মাদরাসা বোর্ডে মিথ্যা অভিযোগ করায় ওই পদ থেকে বাতিল করা হয়েছিল। পরে হাইকোর্টে রিট করলে গত সোমবার আমাকে পূনরায় দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেয়। এদিকে আমি সভাপতি আর আমাকে না জানিয়ে মাদরাসায় জালসা হবে সেটা কেমন দেখায়। আবার বড়াইগ্রামে উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনের তপসিল ঘোষনা হয়েছে। এরমধ্যে গণজামায়াত নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘনের সামিল। আর রির্টানিং অফিসারের নির্দেশে জালসা বন্ধ হয়েছে। এখানে আমার কোন ভূমিকা ছিল না।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহরিয়ার খান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। কোন পক্ষ লিখিত ভাবে কিছু জানায় নাই। মাদরাসা বা এর আশপাশের পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।
জেলা নির্বাচন অফিসার ও বড়াইগ্রামে উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার আবুল হোসেন বলেন, নির্বাচনী তপসিল ঘোষণার পরে জালসা না করাই ভাল। এদিকে বাটরাগোপালপুর মাদরাসার জালসার বিষয়ে তার কিছু জানা নাই বলেও জানান তিনি।