বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
নাটোর অফিস
২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার দুইটি ওয়ার্ডে জেলা পরিষদের সদস্য পদে নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠেছে। চায়ের স্টল থেকে শুরু করে সর্বত্র চলছে এ নিয়ে আলোচনা। ইতোমধ্যে পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে গোটা এলাকা। প্রার্থীরা রাত দিন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন।
জানা গেছে, বড়াইগ্রাম পৌরসভা, বড়াইগ্রাম ইউনিয়ন, মাঝগাঁও ইউনিয়ন ও জোয়াড়ি ইউনিয়ন নিয়ে ১০ নম্বর ওয়ার্ড ও বনপাড়া পৌরসভা, নগর ইউনিয়ন, গোপালপুর ইউনিয়ন ও চান্দাই ইউনিয়ন নিয়ে ১১ নম্বর ওয়ার্ড গঠন করা হয়েছে। এ দুইটি ওয়ার্ডেই ৫২ জন করে ভোটার রয়েছেন। এছাড়া উপজেলার অবশিষ্ট জোনাইল ইউনিয়ন পড়েছে ১২ নম্বর ওয়ার্ডে। ১০ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্ষিয়ান জননেতা আবদুল জলিল প্রামাণিক (হাতি), উপজেলা যুবলীগের নেতা আবুল কালাম আযাদ (তালা), জয় বাংলা সামাজিক আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাকির সরকার (টিউব ওয়েল) ও বাকি বিল্লাহ (ঘুড়ি)। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইয়াসিন আলী (তালা), সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান (হাতি) ও শ্রমিক নেতা আকরাম হোসেন রওনক (টিউব ওয়েল)। এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পৌর মহিলা লীগ নেত্রী হেলেনা বেগম (ফুটবল), রতœা খাতুন (দোয়াত কলম), মৌটুসী আক্তার মুক্তা (টেবিল ঘড়ি) ও নার্গিস খাতুন (হরিণ)।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ভোটার হওয়ায় তাদের কদর অন্য সময়ের চেয়ে অনেক বেড়েছে। প্রার্থীরা এসব চেয়ারম্যান-মেম্বারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইছেন। নানা ভাবে তাদের মন জয়ের চেষ্টা করছেন। প্রার্থীদের মধ্যে সবাই আওয়ামী লীগের। তাই দলীয় একক প্রার্থী নির্বাচন করতে দফায় দফায় মিটিং করেও কোন কাজ না হওয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে প্রার্থীদের পাশাপাশি নিজেরাও মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। প্রত্যেক প্রার্থীই দল ও নেতাকর্মীদের প্রতি তাদের অবদান তুলে ধরে ভোট প্রার্থনা করছেন।
দীর্ঘদিন যাবৎ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরে সভাপতি পদে থাকার সুবাদে আবদুল জলিল প্রামাণিক ভোটারদের কাছে অতি পরিচিত মুখ। তবে তরুণ প্রার্থী হিসাবে আবুল কালাম আযাদও জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের চারজন প্রার্থীর মধ্যে এ দুজনের মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা বেশি। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে সাবেক চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান ও ইয়াসিন আলীর মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা।