বড়াইগ্রামে পাঁচ মাস বেতন পান না প্রাথমিকের ১৯ নৈশ প্রহরী || ঈদের আগে বেতন দাবি

আপডেট: আগস্ট ১৩, ২০১৭, ১২:২৭ পূর্বাহ্ণ

বড়াইগ্রাম প্রতিনিধি


নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় ১৯ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি কাম নৈশ প্রহরী গত পাঁচ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। ফলে অর্থ কষ্টে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন তারা। সামনে কোরবানীর ঈদ করা নিয়েও তাদের সংশয় কাটছে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফলতির ফলেই তাদের এই ভোগান্তি।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি উপজেলার ১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় দফায় দফতরি কাম নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নিয়োগ প্রাপ্তরা গত ৫ মার্চ নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদান করেন।
নিয়োগ প্রাপ্তদের বেতন-ভাতার বরাদ্দ প্রদানের জন্য ৮ মে উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে যাবতীয় কাগজপত্র জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়। কিন্তু জেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণে দীর্ঘ এক মাস পরে ৮ জুন জেলা শিক্ষা অফিসার কাগজপত্র স্বাক্ষর করে বেতন বরাদ্দের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে পাঠান। এরপর গত দুই মাসেও তার কোন সুরাহা হয় নি। ফলে গত পাঁচ মাস ধরে নিয়মিত দায়িত্ব পালন করলেও তারা  কোনো বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। দীর্ঘ বেতন না পাওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
বাহিমালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি কাম নৈশ প্রহরী রেজাউল করিম বলেন, অফিস থেকে প্রতি মাসেই বলা হয় আগামী মাসেই বেতন পাবে। কিন্তু বাস্তবে পাচ্ছি না। আগে অন্য পেশায় কাজ করে সংসার চালাতাম। এখন চাকরি হওয়ায় সেই পথ বন্ধ। ফলে পরিবার নিয়ে বড় কষ্টে আছি। তিনি আরও বলেন, সামনে ঈদ। ঈদের আগে অন্তত বেতন পেলে ভাল হতো। তা না হলে ঈদ করাই দায় হয়ে পড়বে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আকলিমা খানম বলেন, নৈশ প্রহরীদের বেতন বরাদ্দের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষ বেতন প্রদান করা হবে। তবে ঈদের আগে বরাদ্দ দেয়ার জন্য তাগাদা দেয়া হচ্ছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ