ভবানীগঞ্জ পৌর মেয়র আব্দুল মালেক বরখাস্ত

বাগমারা প্রতিনিধি:

পৌরসভার বিভিন্ন আয় খাতের টাকা পৌর তহবিলে জমা না করে সেগুলো আত্মসাত, পৌর কাউন্সিলরদের সাথে চরম অসৌজন্যমূলক আচরণ, পৌরসভার বিভিন্ন ক্রয়খাতে ব্যাপক অনিয়ম ও আত্মসাত, যথাযথ টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন না করে নিজে মেয়র হয়ে নিজেই ঠিকাদারি কাজ নামমাত্র করে তা আত্মসাত করা, পৌর ভবন নির্মাণে নি¤œমানের কাজ ও ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি সহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ না করে টাকা আত্মসাত, সকল কাউন্সিলরদের অনাস্থাসহ বিভিন্ন কারণে ভবানীগঞ্জ পৌর মেয়র আব্দুল মালেককে সাময়িক বরখান্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে। এছাড়া বিষয়টি আরো নিশ্চিত করেছেন ভবানীগঞ্জ পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী লিটন মিয়া। এর আগে ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল মালেকের চরম অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে পৌরসভার সকল কাউন্সিলর দুর্নীতি দমন কমিশনে আবেদন করেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ব্যাপক তদন্তের পর মেয়রের অনিয়ম দুর্নীতির প্রমাণ পায় দুর্নীতি দমন কমিশন। পরে মেয়র আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন পৃথক মামলা রুজু করে। পরে এই মামলায় মেয়র আব্দুল মালেক দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় বিষয়টি আমলে নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ তার বিরুদ্ধে বরখাস্ত হওয়ার আদেশ জারি করেন।

এ দিকে মেয়র আব্দুল মালেক বরখাস্ত হওয়ায় প্যানেল মেয়র হাচেন আলী ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পেয়েছেন। একাধিক কাউন্সিলরর জানান, আব্দুল মালেক দুই টার্ম মেয়র হয়েছেন। তিনি তার ফুফাত ভাই সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের আশ্রয় প্রশ্রয় পেয়ে চরম স্বেচ্ছাচারী হয়ে ওঠেন। তিনি ‘ধরাকে সরা জ্ঞান’ করে চরম অনিয়ম দুর্নীতিতে মেতে ওঠেন। এছাড়া একাধিক নারী সঙ্গ ও বিয়ে পাগল মালেক মেয়রকে পৌরবাসী চরমভাবে ঘৃণা ও প্রত্যাখ্যান করেছে বলেও অনেক কাউন্সিলর ও পৌরবাসীরা মনে করেন।

এ বিষয়ে প্যানেল মেয়র হাচেন আলী বলেন, মেয়রের চরম অনিয়ম দুর্নীতির কারণে স্থানীয় সরকার বিভাগ তাকে বরখাস্ত করেছে এবং আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। বর্তমান এমপি অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের নির্দেশনা ও পরামর্শ নিয়ে আমি এই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করব। তবে সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের আশ্রয় প্রশ্রয় পাওয়ার বিষয়ে হাচেন আলী বলেন, তিনি (এনামুল) মেয়রকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেননি। বার বার শাসন করেছেন। কিন্ত মেয়র মালেক তার কথা আমলে নেননি।