রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
চলতি মরশুম, কিংবা গত কয়েকবছরের কথা নয়, এবার যা হচ্ছে তা শতবর্ষেও ঘটেনি। কেউ কেউ এই ঘটনায় ভয়ানক পরিণতির ইঙ্গিত দেখছেন। পরিসংখ্যান বলছে এই হাহাকার পরিস্থিতি ১৩০ বছরে প্রথমবার। ঠিক কী ঘটেছে এই বিরাট সময়কাল পেরিয়ে, যে কারণে এত হাহাকার?
১৩০ বছরের মধ্যে প্রথমবার মাউন্ট ফুজিতে তুষারপাতের ঘটনা ঘটেনি। শীতের শুরুতে তুষারপাত হচ্ছে না, বিষয়টা আবার তেমনটা নয়। এমনিতেই বছরের বেশিরভাগ সময় মাউন্ট ফুজি একপ্রকার তুষার চাদরে আবৃত থাকত। মূলত অক্টোবরের শুরু থেকেই বরফের সাদা আচ্ছাদন ঢাকা দেয় চরাচর। গত বছরেও অক্টোবরের ৫ তারিখ নাগাদ বরফের চাদর মুড়ি দেয় পার্বত্য অঞ্চল। কিন্তু এবছর?
এবছর আলাদা। তাই এবছরের পরিস্থিতি ভয় ধরাচ্ছে, চিন্তা বাড়াচ্ছে। পরিস্থিতি দেখে অনেকেই বলছেন হালকা ছলে, এবার যেন কোনও কারণে বরফের চাদর প্রতি বছরের রুটিন ভুলে গিয়েছে।
কী বলছে সেখানকার স্থানীয় আবহাওয়া দপ্তর? অধিকর্তারা মনে করছেন, জাপানের সর্বোচ্চ পর্বতেও তুষারপাত না হওয়ার কারণ উষ্ণ আবহাওয়া এবং তার পরোক্ষ, প্রত্যক্ষ প্রভাব। হাওয়া অফিস বলছে, গত গ্রীষ্মে প্রবল গরম ছিল, সেপ্টেম্বরেও গরম ছিল।
ওই গরম আবহাওয়া মূলত ঠান্ডা বাতাসকে বাধা দে, যে বাতাস তুষার বয়ে নিয়ে আসে। জলবায়ুর পরিবর্তনই স্নো ক্যাপ গঠনের সময়কে প্রভাবিত করছে। একথাও ঠিক, ২০২৪ এর গ্রীষ্ম জাপানের জন্য চরম উষ্ণতম বছর ছিল।
প্রতিবার অক্টোবরেই জাপানের সর্বোচ্চ চূড়ায় তুষারপাত হলেও, মাঝে ১৯৫৫, ২০১৬সালে অক্টোবরের শেষের দিকে এই ঘটনা ঘটেছিল।কিন্তু এবার পেরিয়ে গেল সেই দিন এবং মাসও। প্রতি বছর প্রায় ২লক্ষের বেশি মানুষ যান মাউন্ট ফুজিতে। অনেকেই সারারাত ট্রেকিং করেন, সূর্যোদয় দেখবেন বলে। এবছর এখনও পর্যন্ত তাঁদের সংখ্যাও কম কিছুটা।
শুধু পর্যটকদের ভিড়ের বিষয় নয়, এই ধরনের ঘটনা প্রভাব ফেলে স্থানীয় একাধিক বিষয়ে। এই ধরনের পরিবর্তন সেখানকার বাস্তুতন্ত্রের উপরও দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে।
জীবন যাত্রাতেও পড়ে প্রভাব। যেমন, গলে যাওয়া তুষার আশেপাশের এলাকায় মিষ্টি জলের উৎস হিসেবে কাজ করে, কিন্তু তুষারপাত না হলে, স্থানীয় অঞ্চলে জলের সমস্যা দেখা দেবে বলেও আশঙ্কা।
তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন