নিজস্ব প্রতিবেদক:
মৌসুমের নতুন আলু ও পেঁয়াজে বাজার ভরপুর থাকলেও চড়া দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে পণ্য ২টি। সাধারণত বছরের এ সময় আলু ও পেঁয়াজের দাম কমে আসে। কিন্তু ভালো উৎপাদনের পরোও এবার বাজারের চিত্র উল্টো। বাজার দর পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত বছরের চেয়ে এবার আলু দ্বিগুণ ও পেঁয়াজ প্রায় আড়াইগুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি নতুন আলু ৫৫ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। গত বছর এমন সময় নতুন আলু ২২ থেকে ২৫ টাকা ও পেঁয়াজ ৪২ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হয়।
রাজশাহীর বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সবজির দাম। স্থিতিশীল আছে মাছ ও মাংসের দাম। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, শীতে সবজির পর্যাপ্ত উৎপাদনের পরেও দাম বেশি। বিক্রেতারা বলছেন, শীত হলেও বাজারে সবজির সরবরাহ কম। তাই বেশি দামে কিনে বিক্রে করতে হচ্ছে তাদের।
বেসরকারি চাকরিজীবী মনিরুল ইসলাম বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে অনেক হয়েছে। কিন্তু সস্তার আলুও ৬০-৭০ টাকা দিয়ে কিনে খেতে হবে কখনো ভাবিনি। নতুন আলু ও পেঁয়াজ বাজারে এসে পুরনো হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দাম কমছে না। তাই এগুলো খাওয়াই কমিয়ে দিয়েছি। খুব প্রয়োজন নাহলে আলু-পেঁয়াজ কিনছি না। আর প্রয়োজন হলেও খুব অল্প কিনছি।
নগরীর মাস্টারপাড়ার পাইকারি বিক্রেতা কামরুল ইসলাম বলেন, প্রথম দিকে চড়া থাকলেও পরে নতুন আলু ও পেঁয়াজের দাম কমে আসে। কিন্তু এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। গত বছরও দাম কমে আলু ২০ টাকার আশপাশে বিক্রি হয়েছে। সেখানে এবার দাম বেড়ে ৭০ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে। মৌসুমে আলুর এতো চড়া দাম আগে দেখিনি।
এদিন ফুলকপি বিক্রি হয়েছে ৬০ কেজি, বেগুন ৮০ টাকা কেজি, সজনার ডাটা বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ২০০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতিটি বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা, শশা প্রতিকেজি ৬০ টাকা, মূলা ২০ টাকা ও প্রতিটি ব্রকলি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। প্রতিহালি কলা বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা, প্রতিকেজি সিম বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, প্রতিকেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা,
অপরদিকে, মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে প্রতিকেজি পাঙাশ মাছ বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, রুই মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, কাতল ৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ২৫০ টাকা, কই ৫৫০ টাকা, বড় তেলাপিয়া ৩০০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৯০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ১ হাজার ২০০ টাকা, বোয়াল ৭৫০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা, পাবদা ৬০০ টাকা ও শিং ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
বয়লারে মুরগী বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা কেজি দরে। হাইব্রিড সোনালী প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা, সোনালী ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩১০ টাকা দরে। এছাড়া দেশি মুরগি ৪৮০ টাকা সাদা লেয়ার ২৫০ টাকা, পাতিহাঁস ৪২০ টাকা, রাজহাঁস ৬০০ টাকা, লাল লেয়ার ৩০০ টাকা ও বড় ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা দরে। এদিন খাসির মাংস বিক্রি হয়েছে ১১৫০ টাকা ও গরু ৭৫০ টাকা।