ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতিকারীদের বিরুদ্ধে ১ সপ্তাহের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি

আপডেট: মার্চ ১৪, ২০২৪, ২:৩৬ অপরাহ্ণ

রাবি প্রতিবেদক :রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিগত ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে জালিয়াতির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে এক সপ্তাহের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের সময় দিয়েছে রাকসু আন্দোলন মঞ্চ। এই দাবিতে বুধবার (১৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়েছে সংগঠনটি। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিগত বছরগুলোতে বেশ কিছু ভর্তি জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছিল, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

এ ধরনের ঘটনায় দেশ-বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জালিয়াতির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সেই সময় আমরা দাবি জানালে আপনার প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। ঐ সময় কতিপয় অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়, যা প্রশংসার দাবি রাখে।

স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, ঐসময় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তার অধিকাংশই ধরাছোঁয়ার বাইরে আছে এবং এখনও তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহাল তবিয়তে আছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের কথা বলা হলেও এখনও কোনো সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি। ফলে অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য লজ্জাজনক বিষয়। তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে না পারলে বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাধ প্রবণতা আরও বাড়বে বলে আমরা আশঙ্কা প্রকাশ করছি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে, তাদের ভর্তি সংক্রান্ত সকল তথ্য পুনরায় পরীক্ষা করে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করা হোক। জালিয়াতির সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে অথিসত্ত্বর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম দিয়ে স্মারকলিপিতে বলা হয়, আমরা প্রত্যাশা করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ও শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে ভর্তি জালিয়াতির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আগমী এক সপ্তাহের মধ্যে আপনার প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। অন্যথায় আমরা সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে ধারাবাহিক কর্মসূচিতে যাবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম এবং মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় আপনার প্রশাসন আরও উদ্যোগী এবং সচেষ্ট ভূমিকা পালন করবেন, এটাই প্রত্যাশা করি।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, তারা একটা স্মারকলিপি দিয়েছে। বলা মাত্রই কোনো কিছুর সমাধান হয়ে যায়না। এখানে পদ্ধতিগত কিছু বিষয় থাকে। বাইরে থেকে অনেকে অনেক কিছু বলতে পারে। কিন্তু আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কেউ কিছু বলতে গেলে, ঘটনার সত্যতা বা প্রমাণ নিশ্চিত করেই কথা বলতে হয়। বিষয়টা যাচাই-বাছাই করে দেখার পরে কথা বলতে পারবো। বললেইতো আর সাতদিনের মধ্যে সমাধান করা সম্ভব না।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ