দেশকে উন্নত করতে হলে ভর্তুকি উঠিয়ে দিতে হবে: এনবিআর চেয়ারম্যান

আপডেট: মার্চ ৬, ২০২৪, ১০:৩৪ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক:জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছেন, ‘দেশকে দ্রুত উন্নয়নের দিকে নিয়ে যেতে হলে রাজস্ব বৃদ্ধি করতে হবে। উন্নত হতে হলে দেশের বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি উঠিয়ে দিতে হবে।’

বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (আরসিসিআই) আয়োজিত ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় আরসিসিআই অডিটোরিয়ামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন তিনি।

আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, কর না দেওয়ার প্রবণতা আমাদের সহজাত স্বভাব। তবে যাতে করে সবাই স্বপ্রণোদিত হয়ে কর দিতে চায় তার পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। ঘরে বসে সবাই এখন ইনকাম ট্যাক্স জমা দিতে ও সার্টিফিকেট তুলতে পারছেন। এনবিআর চেষ্টা করছে ট্র্যাক্স প্রদানকারীদের সমস্যার সমাধানে। এসময় তিনি কাস্টমস, ভ্যাট ও ইনকাম ট্যাক্স নিয়ে সমস্যায় পড়ে সমাধান না পেলে অভিযোগের পরামর্শ দেন।

রাজস্বের ওপর দেশের উন্নয়ন নির্ভরশীল উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এনবিআর রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি ব্যবসার উপযোগী উন্নত পরিবেশ তৈরি করে দিচ্ছে। ৯০ শতাংশ পণ্য এখন দেশেই উৎপাদিত হয়। বাকি যে ১০ শতাংশ পণ্য আমদানি করা হচ্ছে তা অভিজাত শ্রেণির মানুষের চাহিদার পুরণের জন্য এবং আমাদের প্রচুর হাইস্কিল ম্যান-পাওয়ারের প্রয়োজন আছে। ২১ লাখ রিটার্ন দাখিলকারীর সংখ্যা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে এখন তা ৪০ লাখে দাঁড়িয়েছে। টিনধারীর সংখ্যা এক কোটির ওপরে।

এর আগে ব্যবসায়ী নেতারা কাস্টমস, ভ্যাট ও ইনকাম ট্যাক্স নিয়ে তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ তুলে ধরেন। এ সময় নারী চেম্বারের নেত্রী শামসুন নাহার রুমি বলেন, ট্যাক্স নিয়ে সবার ক্ষোভের জায়গা আছে। মান ঠিক না হলে কোনো বাজেট বাস্তবায়ন হবে না।

রাজশাহী চেম্বারের সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু বলেন, সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে যেসব পণ্য আমদানি করা হচ্ছে তা সুলতানগঞ্জ-মায়া নৌবন্দর দিয়ে আমদানি করা হলে ব্যায় কমে আসত। যার ফলে ডলারের ওপর চাপ কমে আসবে। এ ছাড়াও পণ্য পরিবহনে ৭০ কিলোমিটার দূরত্ব কমে আসত। নৌবন্দরটিকে পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা গেলে এখানে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থানের সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু। উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগের চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবসায়ী নেতা, উদ্যোক্তা, কাস্টমস, ভ্যাট ও ট্যাক্স অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।