ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি :
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন রসাটমের সহায়তায় নির্মিত কুদানকুলাম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম দুটি ইউনিট থেকে ভারতের জাতীয় গ্রিডে এখন পর্যন্ত ১০০ বিলিয়ন কিলোওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ জুলাই) রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে নিয়োজিত রসাটম কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেসনোটের মাধ্যমে এ তথ্য জানান। গত দশ বছর যাবত এই ইউনিট দুটি দক্ষতা ও নিরাপত্তার সঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের ঈশ্বরদীর রূপপুরেও রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় দুই ইউনিট বিশিষ্ট একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের শেষের পর্যায়ে রয়েছে। ভিভিইআর-১২০০ রি-অ্যাক্টর ভিত্তিক প্রতিটি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা হবে ১২০০ মেগাওয়াট।
এতমস্ত্রয়এক্সপোর্ট এর ফার্স্ট ভাইস-প্রেসিডেন্ট (কন্সট্রাকশন) আলেক্সি ঝুকভ জানান, কুদানকুলাম এনপিপি’র এই দুটি ইউনিট চালু হবার পর প্রতি বছর ১৬ মিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে। ভারতের ৫০ মিলিয়ন পরিবারকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।
বর্তমানে রসাটমের সহায়তায় প্রতিটি ১০০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন আরও ৪টি ইউনিট নির্মানের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। এগুলোর, স্টার্টআপের পর দেশটির পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। আলেক্সি ঝুকভ জানান, ‘পরীক্ষিত ডিজাইন ও নির্ভরযোগ্য ইক্যুইপমেন্ট এর ব্যবহার, উচ্চমানের নির্মান কাজ এবং স্থাপন ও কমিশনিং এর ফলে কুদানকুলাম এনপিপি’র অপারেশন দক্ষতা অর্জন সম্ভব হয়েছে।
ডিজাইন থেকে অপারেশন পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে রুশ এবং ভারতীয় বিশেষজ্ঞারা যৌথভাবে কাজ করেছেন। প্রত্যেকেই তাদের দক্ষতা প্রমান করার ফলে এমন একটি কমপ্লেক্স ও দক্ষ স্থাপনা নির্মান সম্ভব হয়েছে যা মান ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত কঠিনতম চাহিদাগুলো পুরণে সক্ষম’।
প্রসঙ্গত: রাশিয়া ও ভারতের মধ্যে ১৯৮৮ সালে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মান সংক্রান্ত একটি আন্তঃসরকারি চুক্তি এবং ১৯৯৮ সালের সংযোজনীর অধীনে কুদানকুলাম এনপিপি বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পটিতে ৬টি পাওয়ার ইউনিট নির্মিত হচ্ছে যার প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা ১০০০ মেগাওয়াট।