ভারতে ‘অপারেশন সংকল্পে’ খতম ৩১ মাওবাদী

আপডেট: মে ১৩, ২০২৫, ১:৫৮ অপরাহ্ণ

ফাইল ছবি

সোনার দেশ ডেস্ক :


একদিকে সন্ত্রাসের পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দিতে চালু রয়েছে অপারেশন সিঁদুর, অন্যদিকে দেশের অন্দরে উগ্রপন্থার শিকড় উপড়ে ফেলতে চলছে ‘অপারেশন সংকল্প’। ছত্তিশগড়-তেলেঙ্গানা সীমানায় মাওবাদের মৌচাকে হানা নিরাপত্তাবাহিনীর। বড়সড় অভিযানে খতম হল ৩১ জন সন্দেহভাজন মাওবাদী। গত সোমবার এই মাওবাদীদের দেহ উদ্ধারের কথা প্রকাশ্যে এনেছে ছত্তিশগড় পুলিশ।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মৃত ৩১ জন মাওবাদীর মধ্যে ২০ জনকে ইতিমধ্যেই শনাক্ত করা গিয়েছে। ১১ জনের ময়নাতদন্ত ও অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া শেষ করার পর দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে তাদের পরিবারের হাতে। বাকি মাওবাদীদেরও আইনি প্রক্রিয়া জারি রয়েছে। যদিও এই অভিযান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখনও পুলিশের তরফে প্রকাশ করা হয়নি।

প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে, ছত্তিশগড়-তেলেঙ্গানা সীমানায় কারেগুট্টা পাহাড়ের আশেপাশের ঘন জঙ্গলে ‘অপারেশন সংকল্প’ চলাকালীন মৃত্যু হয় এই মাওবাদীদের। আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ্যে আনবেন বিজাপুরের পুলিশ সুপার জিতেন্দ্র যাদব।

উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে মাওবাদমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর থেকেই ছত্তিশগড়, ঝড়খণ্ডের মতো মাও অধ্যুষিত রাজ্যগুলিতে মাওবিরোধী অভিযান ব্যাপক গতি পেয়েছে। পুলিশের মতে, কারেগুট্টা পাহাড়ি এলাকা মাওবাদীদের অন্যতম শক্তঘাঁটি হিসেবে মনে করা হয়।

এই এলাকা থেকে মাওবাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে প্রায় ৩ হাজার আধাসেনাকে নামানো হয়েছে। ২১ এপ্রিল থেকে ওই অঞ্চলে শুরু হয় অভিযান। এখনও পর্যন্ত ওই এলাকাজুড়ে চালানো হয়েছে ৩৫টি অভিযান।

পুলিশের দাবি, ওই সব এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪০০ টিরও বেশি আইইডি এবং প্রায় ৪০টি অস্ত্র এবং প্রায় ২ টন বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। এই অভিযানে ছত্তিশগড় পুলিশের জেলা রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি), বাস্তার ফাইটারস, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ), সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) এবং এর কোবরা ইউনিট-সহ বিভিন্ন ইউনিটের প্রায় ২৮,০০০ জওয়ান অংশ নেন।
তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ