মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক:
এনসিআরবি আইসিথ্রি নামক সংস্থার সহযোগিতায় এই সমীক্ষা সম্পন্ন করেছে। বুধবারই প্রকাশ্যে এসেছে ওই রিপোর্ট। তাদের সাম্প্রতিক ওই রিপোর্টের পর একপ্রকার শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর সম্প্রতি ‘স্টুডেন্টস সুইসাইড: অ্যান এপিডেমিক স্যুইপিং ইন্ডিয়া’ শীর্ষক ওই রিপোর্ট সামনে এনেছে এই বিস্ফোরক তথ্য। তাতে দেখা গিয়েছে, দু’ দশকে এদেশে সার্বিক আত্মহত্যার হার বার্ষিক হিসেবে ২ শতাংশ বেড়েছে এবং কেবল পড়ুয়াদের আত্মহত্যার হার বেড়েছে তার দ্বিগুণ, অর্থাৎ ৪ শতাংশ। এই হার কেবল সার্বিক আত্মহত্যার হারের চেয়েই বেশি নয়, বেশি জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের চেয়ে বেশি।
কেন একথা বলা হচ্ছে, তথ্য দিয়ে বোঝানো হয়েছে তাও। এনসি আরবি জানাচ্ছে, ০-২৪ বছর বয়সীদের জনসংখ্যার দিক নজর দিল দেখা যাবে, এক দশকে তার পরিমাণ কমেছে ৫৮.২ কোটি থেকে ৫৮.১ কোটিতে। কিন্তু পড়ুয়াদের আত্মহত্যা বেড়েছে দ্বিগুণ হারে। পড়ুয়াদের আত্মহত্যা ৬ হাজার ৬৫৪ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩, ০৪৪।
রিপোর্টে শুধু সামগ্রিকভাবে পড়ুয়াদের আত্মহত্যার কথা জানায়নি, জানানো হয়েছে, এই তালিকায় শীর্ষে কোন রাজ্য। রিপোর্ট বলছে, সমগ্র দেশে বার্ষিক যে পরিমাণ পড়ুয়া আত্মহত্যা করেন, তাঁদের এক তৃতীয়াংশ কেবল তিন রাজ্যেরই। ওই তিন রাজ্য হল মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু।
পরিংখ্যান জানাচ্ছে, ২০২১ এবং ২০২২-এ ছাত্র আত্মহত্যার হার কমেছিল ৬ শতাংশ এবং ছাত্রী আত্মহত্যার হার বেড়েছিল ৭ শতাংশ। ২০২২ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী পড়ুয়া আত্মহত্যার ৫৩ শতাংশ ছাত্র। গত এক দশকে ছাত্র আত্মহত্যার হার বেড়েছে ৫০ শতাংশ
মেয়েদের আত্মহত্যার হার বেড়েছে ৬১ শতাংশ। তাদের মতে, পড়ুয়া মৃত্যুর খবর সচরাচর প্রকাশ্যে আসে না, থানায় অভিযোগ দায়ের হয় না অনেকক্ষেত্রেই। তারপরেও যে সংখ্যা প্রকাশ্যে এসেছে, তা উদ্বেগের।
তথ্যসূত্র: আজকাল