ভারতে প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেনের টিকিটের দাম কত ছিল? কতদূর চলেছিল সেটি?

আপডেট: এপ্রিল ১৬, ২০২৫, ৯:৫১ অপরাহ্ণ

সোনার দেশ ডেস্ক:


ভারতীয় পরিবহনের মেরুদন্ড হল ভারতীয় রেল। বছরের শুরুতে, রেল ভারতীয় রেল নেটওয়ার্কের ২৩ হাজারেরও বেশি ট্র্যাক কিলোমিটার (TKM) আপগ্রেড করে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করেছিল। এর ফলে ট্রেনের গতি বৃদ্ধি পেয়ে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার (কিমি/ঘন্টা) পর্যন্ত পৌঁছেছে। কিন্তু আপনি কি জানেন, ১৮৫৩ সালে বম্বে এবং থানের মধ্যে চলাচলকারী প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেনের টিকিটের ভাড়া কত ছিল? আসুন জেনে নেওয়া যাক।

ভারতের প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেনটি ১৮৫৩ সালের ১৬ এপ্রিল বোরি বন্দর (বর্তমানে মুম্বই) এবং থানের মধ্যে চলেছিল। গ্রেট ইন্ডিয়ান পেনিনসুলা রেলওয়ে দ্বারা পরিচালিত ট্রেনটি ৩৪ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছিল। ভারতের প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেনের টিকিটের ভাড়া প্রথম শ্রেণী, দ্বিতীয় শ্রেণী, আন্তঃশ্রেণী এবং তৃতীয় শ্রেণীর জন্য ছিল যথাক্রমে ৩০ পয়সা, ১৬ পয়সা, ৯ পয়সা এবং ৫ পয়সা। পরে দ্বিতীয় শ্রেণীর টিকিটের জন্য ১ টাকা এবং প্রথম শ্রেণীর টিকিটের জন্য ২ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়।

গত বছর ফেব্রুয়ারিতে রেল যাত্রীবাহী ট্রেনের টিকিটের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর কথা ঘোষণা করেছিল যাতে কোভিড-পূর্ব স্তরে ফিরে যাওয়া যেতে পারে। ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ থেকে ভারতীয় রেল ‘যাত্রীবাহী ট্রেন’-এ দ্বিতীয় শ্রেণীর সাধারণ ভাড়া পুনর্বহাল করে। যা এখন ‘এক্সপ্রেস স্পেশাল’ বা ‘মেমু/ডেমু এক্সপ্রেস’ ট্রেন হিসেবে পরিচিত।

কোভিড অতিমারি এবং লকডাউনের পর রেল সেই ট্রেনগুলি বন্ধ করে দেয়। এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সর্বনিম্ন টিকিটের মূল্য ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করে।
২০২৪-২৫ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুসারে, ১৭টি নতুন জোড়া বন্দে ভারত ট্রেন নেটওয়ার্কে চালু করা হয়েছে এবং ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে অক্টোবরের মধ্যে ২২৮টি কোচ তৈরি করা হয়েছে। এর বাইরে, ৯১টি গতিশক্তি মাল্টি-মডেল কার্গো টার্মিনাল চালু করা হয়েছে এবং পিপিপি মডেলের অধীনে ১৬,৪৩৪ কোটি টাকার ১৭টি প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে।
তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ