মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩০ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
ভারত-পাকিস্তান সংঘাতকে কেন্দ্র করে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে গুজব ও ভুল তথ্য। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ও ভুয়া ছবি-ভিডিও তথ্য ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। যা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্তি ও অহেতুক আতঙ্কের মধ্যে ফেলে দেয়া হচ্ছে। ফ্যাক্টচেকিং প্ল্যাটফর্ম ডিসমিসল্যাবইতোমধ্যেই কিছু ছবি ও ডিডিওকে ভূয়া বা সত্য নয় বলে উল্লেখ করেছে। বাংলাদেশে চলমান গুজব এবং ভুয়া খবর, অপতথ্য প্রতিরোধ এবং জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত রিউমার স্ক্যানারের অনুসন্ধানেও এ তথ্য উঠে এসেছে।
রিউমার স্ক্যানার জানায়, ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে হতাহত ভারতীয় সেনা বহন করে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও দাবিতে পুরোনো ভিন্ন ঘটনার দৃশ্য প্রচার শনাক্ত করেছে তাদের ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান টিম।
পাকিস্তানে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দৃশ্য দাবিতে গাজার হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলার পুরোনো ভিডিও প্রচার, ভারতের সামরিক হেলিকপ্টার ভূপাতিতের দৃশ্য দাবিতে তুরস্কের পুরোনো ভিডিও প্রচার শনাক্ত করেছে ফ্যাক্ট চেক টিম।
পাকিস্তানে ভারতীয় পাইলট আটকের দৃশ্য দাবিতে ২০১৯ সালের ভিন্ন ঘটনার ভিডিও প্রচার, সাম্প্রতিক পাক-ভারত সংঘাতের ঘটনায় ভারতের যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দৃশ্য দাবিতে পুরোনো ভিডিও প্রচার, ভারতের যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের দৃশ্য নয়, ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি বলে শনাক্ত করেছে রিউমার স্ক্যানার।
এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ভারত ও পাকিস্তানের সংঘাতকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নেটিজেনরা দুই দেশের পক্ষ বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে এব ধরনের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে এআই প্রযুক্তির কার্যকর ব্যবহারও হচ্ছে। বিষয়টি শুধু যোগাযোগ মাধ্যমেই থেমে নেই। ভারত ও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে যে সব বক্তব্য-বিবৃতি দেয়া হচ্ছে সেগুলো তথ্য যুদ্ধের সামিল। যা বিভ্রান্তিকর। দুই দেশের দেয়া তথ্য আমলে নেয়ার উপায় নেই। ফলে সংঘাত পরিস্থিতির সঠিক তথ্য খুব কমই সাধারণ মানুষের মধ্যে আসছে। আর বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রবাহের গতি এতোই ব্যাপক যে তা যাচাই করাও দুরূহ হয়ে উঠেছে। কখনো কখনো মূল ধারার সংবাদ মাধ্যমেও বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগ উঠছে। বিষয়টি রীতিমত উদ্বেগজনক। এর ফলে দেশের মানুষ বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ছে। অন্যের সাথে কূটতর্কে লিপ্ত হচ্ছে যা সহনশীল পরিস্থিতির পরিপন্থী। দেশের মানুষ যাতে বিভ্রান্ত না হয় সে ব্যাপারে সরকারের উদ্যোগ যেমন দরকার তেমনই মূল ধারার গণমাধ্যমগুলোকে আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।