বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
ভদ্রতা করে মনের কথা মনে লুকিয়ে রাখার মতো মানুষ ইয়ান চ্যাপেল নন। চাঁচাছোলা সমালোচনা করতেই অভ্যস্ত চ্যাপেল ভাইদের বড়জন। পাকিস্তান অস্ট্রেলিয়ায় আরো একটি সিরিজে ধবলধোলাই হওয়ার পর সাবেক অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক রীতিমতো ছুঁলে দিলেন। এই পাকিস্তান দল অস্ট্রেলিয়া সফরে আমন্ত্রণ জানানোর যোগ্য কি না, এমন প্রশ্নও তুলে দিলেন পরোক্ষে।
এবারের সফরের শুরুটা বেশ ভালো করেছিল পাকিস্তান। ৪৯০ রানের অসম্ভব এক লক্ষ্য প্রায় ছুঁয়েই ফেলেছিল। কিন্তু ওই ইনিংসটা বাদে পুরো সিরিজে ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিংয়ে, এমনকি অধিনায়কত্বেও পাকিস্তান ছিল নেতিবাচক।
‘খাঁটি অস্ট্রেলীয় ভাষা’য় চ্যাপেল বলেছেন, “এ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় টানা ১২ টেস্টে হারলো পাকিস্তান। কাউকে না কাউকে তো ওদের পশ্চাৎদেশে কষে লাথি মারতেই হবে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার উচিত হবে ওদের বলা, “দেখো, খেলার মান বাড়াতে না পারলে আমরা তোমাদের আর ডাকব না।’”
শুধু পরাজয় নয়, পাকিস্তানের ক্রিকেট দেখেও সন্তুষ্ট নন চ্যাপেল, ‘আপনি এভাবে বাজে খেলে যেতে পারেন না। বাজে বোলিং করে, রক্ষণাত্মক ফিল্ডিং সাজিয়ে, বাজে ফিল্ডিং করে অস্ট্রেলিয়ায় ভালো ক্রিকেট খেলার আশা করতে পারেন না।’
মিসবাহ-উল হকের বিকল্প নাকি খুঁজে পাচ্ছে না পাকিস্তান। অথচ অধিনায়ক হিসেবে মিসবাহকে পাস নম্বরই দিতে রাজি নন চ্যাপেল। দলের এই দশার জন্য মিসবাহকেই দায়ী করছেন তিনি, ‘ওরা যে এভাবে ধুঁকল, এর বড় কারণ কোনো নেতৃত্ব ছিল না। মিসবাহ ওদের একদমই উজ্জীবিত করতে পারে নি। তাই পাকিস্তানের ক্রিকেট পরিবর্তন দরকার।’
নিউজিল্যান্ড সফরের পর অস্ট্রেলিয়াতেও ভরাডুবি। তবু পাকিস্তান যে পরিবর্তন আনবে, সে কথাও জোর দিয়ে বলতে পারছেন না চ্যাপেল, ‘আমাকে যদি দল নির্বাচনের ব্যাপারে কিছু করতে হতো, প্রথমেই মিসবাহর অধিনায়কত্ব শেষ করে দিতাম। তবে পাকিস্তানে সবকিছু ওরা অদ্ভুতভাবে করে। তাই এ ব্যাপারে বাজি ধরে কিছু বলতে পারছি না।’ সূত্র: ডিএনএ,প্রথম আলো অনলাইন।