ভুল সিগন্যালে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ পদ্মা ছাড়ল সাড়ে তিন ঘণ্টা পর, যাত্রীদের ভোগান্তি

আপডেট: মার্চ ১৫, ২০২৫, ৯:৩৪ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক


রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় ভুল সিগন্যালের কারণে ধূমকেতু এক্সপ্রেস ও বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। যাত্রীবিহীন থাকায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ট্রেন উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে পদ্মা এক্সপ্রেস ছেড়ে গেছে।

শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুটি ট্রেনের একটি পরিষ্কারের জন্য ওয়াশপিটে যাচ্ছিল, অন্যটি ওয়াশপিট থেকে বের হচ্ছিল। তবে সংঘর্ষের ফলে উভয় ট্রেনের একটি করে বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে।

রাজশাহী স্টেশনের ওয়াশপিট সুপারভাইজার শাহাবুল ইসলাম জানান, বাংলাবান্ধা ওয়াশপিট থেকে স্টেশনের দিকে আর পদ্মা এক্সপ্রেস স্টেশন থেকে ওয়াশপিটের দিকে যাচ্ছিল। সিগন্যাল পয়েন্ট সমস্যা থাকায় বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেসকে ধাক্কা দিয়ে পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। এতে দুটি ট্রেনের একাধিক বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেন।

স্টেশন মাস্টার আবুল কালাম আজাদ জানান, পদ্মা এক্সপ্রেস বিকেল ৪টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু লাইনচ্যুতের কারণে তা উদ্ধার করতে সময় লাগে চার ঘণ্টারও বেশি। তবে এই সময়ের মধ্যে বনলতা চলে আসাতে তাকে পদ্মার বদলে পাঠানো হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ যাত্রীদের শাটল ট্রেনে পাঠানো হয়েছে। সাড়ে তিন ঘণ্টা বিলম্বে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। ফিরতে পথেও একই রকম বিলম্ব হবে। তবে রোববার সিল্কসিটি বন্ধের দিন থাকায় শিডিউল বিপর্যয় হবে না।

এদিকে কপোতাক্ষ, টুঙ্গিপাড়া ও ঢালারচরেরও সময় বিপর্যয় হয়েছে। ট্রেনগুলো দেড় থেকে তিনঘণ্টা বিলম্বে ছেড়ে গেছে। এতে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন।

পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী মোহাম্মদ জুবায়ের বলেন, পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনটি কখন ছেড়ে যাবে, কখন আসবে, আদৌ ছাড়বে কি না তার কোনো সঠিক তথ্যই দিতে পারিনি রেল। স্টেশনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দেখা পাওয়া যায় না। ঘণ্টায় ট্রেনের শিডিউল পরিবর্তন করা হচ্ছে, কিন্তু নির্ধারিত সময় ট্রেন ছাড়ছে না। প্ল্যাটফরমে বসে ভোগান্তি পোহানো ছাড়া যাত্রীদের আর কোনো কাজ নেই। তারা টিকিটের টাকাও ফেরত দেয়নি।

ঢালারচর এক্সপ্রেসের যাত্রী শাহিন মিয়া বলেন, পদ্মা এক্সপ্রেস ও বাংলাবান্ধা লাইনচ্যুত হলেও আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। নির্ধারিত সময়েও ট্রেন ছাড়তে পারেনি। রোজার দিনে এমন ভোগান্তি মেনে নেওয়া কষ্টের।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক মামুনুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার কারণে ট্রেনগুলোর নির্ধারিত সময়ের দেরি করে ছাড়া হয়েছে। ট্রেন দুর্ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ