শনিবার, ১০ জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২৭ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
বিক্ষোভের দৃশ্য ভেনিসের সাথে একে বারেই বেমানান। কিন্তু সেটাই ঘটেছে সেখানে।
বিক্ষোভ মিছিলের সাথে ছিলো বিশাল আকারের একটা স্যুটকেস। বাড়ি ছাড়া হওয়ার এক প্রতীকী ধারনা হিসেবে যাকে ব্যাবহার করা হয়েছে। তারা বলতে চাইছেন ভেনিশিয়ানদের ছাড়া ভেনিস কিভাবে হয়? এসব বিক্ষোভের মুলে রয়েছে সেখানে আসা পর্যটকদের ভিড়।
ভেনিসের আকর্ষণীয় স্থাপত্য দেখতে বা গন্ডোলায় করে ঘুরতে সেখানে এত বেশি পর্যটক আসেন যে তাদের ভিড়ে স্থানীয়দের শোচনীয় অবস্থা। ইতালির সবচাইতে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রের একটি ভেনিস।
অনেকে এটিকে বলেন ভাসমান শহর। ১১৭ টি ছোট দ্বীপ নিয়ে তৈরি ভেনিসের মুল আকর্ষণ হলো এর ভবন গুলো। কারণ সেগুলো কাঠের পাটাতন আর খুঁটি দিয়ে পানির ওপর তৈরি করা। সেখানে কোন গাড়ি চালানোর রাস্তা নেই। রয়েছে অসংখ্য খাল আর ব্রিজ। চলাচল শুধু পায়ে হেটে নতুবা ওয়াটার বাসে। কিন্তু পর্যটকদের ভিড়ে নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে বাধ্য হয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের চলে যেতে হচ্ছে আশপাশের শহরে। ভেনিসে ভরা মৌসুমে প্রতিদিন গড়ে ৬০ হাজারের মতো পর্যটক বেড়াতে আসেন। কিন্তু শহরের আসল বাসিন্দা এর চেয়ে কম। নিজের বাড়ি বলে কিছুই যেন আর থাকে না।
তাছাড়া বাড়ির মালিকেরা পর্যটকদের ভাড়া দিতেই বেশি আগ্রহী কারণ তাতেই পয়সা বেশি। পর্যটকদের ভিড়ে দেখা দিচ্ছে বাসস্থান সংকট। পর্যটন কেন্দ্রে সবকিছুর দামও অনেক বেশি থাকে তাই দরকারি সবকিছু বেশ আগেই চলে গেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের নাগালের বাইরে। সব মিলিয়ে বিরক্ত ভেনিশিয়ানরা শেষমেষ পর্যটক হঠাও আন্দোলনে নেমেছেন।- বিডিনিউজ