নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভোক্তাদের সঙ্গে যারা প্রতারণা করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এগুলো শক্তভাবে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান।
রোববার (২৬ মে) দুপুরে রাজশাহী নগরীর সাহেববাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার মনিটরিং অভিযান চালানো হয়। এতে নেতৃত্ব দেন মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, ইদকে সামনে রেখে যেকোনো পণ্য মজুদ করে অস্থিশীল করলে শক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা ইদ অথবা কোনো উৎসব আসলে দাম বাড়িয়ে দেয়।
তিনি আরও বলেন, কোরবানির ইদকে কেন্দ্র করে মসলার দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই। ব্যবসায়ীরা তিন মাস আগ থেকেই দেশের বাজারে মসলা আমদানি করছেন। ঢাকা ও খাতুনগঞ্জে মসলা চলে এসেছে। সেই মসলা খুচরা বাজারে যাচ্ছে। কেউ যদি দাম বাড়ায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভোক্তার মহাপরিচালক বলেন, ‘রাজশাহীতে আম ও লেবুর দাম অনেক কম। এখানে এক হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকায়। অথচ ঢাকায় এই লেবু ৫০ থেকে ৬০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে। মধ্যস্বত্বভোগীরা দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাদের দৌরাত্ম্য কমানোর জন্যও কাজ করবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।’
তিনি বলেন, ‘যথাযথ কর্তৃপক্ষের লাইসেন্স ও বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ব্যতীত যে সকল প্রতিষ্ঠান খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন করছে, সেই প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। এ জন্য সারা দেশেই জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অভিযান জোরদার করা হয়েছে।’
এসময় অনুমতিবিহিন খোলা সেমাই বিক্রির অভিযোগে পদ্মা ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ নামের এক প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি দোকানীদের ভেজাল পণ্য বিক্রির বিষয়ে সচেতন হবার আহ্বান জানান তারা।
ভোক্তার অধিকার নিশ্চিতে সামনের দিনে অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়। এসময় ভোক্তার কর্মকর্তা ও রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।