বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের খালেআলমপুর দারুল সুন্নাত আলিম মাদ্রাসা ও বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের সাবেক সভাপতি এবং স্থানীয় এক আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির ও ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। রোববার (০১ সেপ্টেম্বর) সকালে ভোলাহাট উপজেলার খালেআলমপুর মাদ্রাসা ও কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এলাকাবাসী।
এসময় মানববন্ধনে বিগত সরকারের আমলে থাকা গভর্নিং কমিটির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাংসদের ব্যক্তিগত সহকারী কায়সার আহমেদ কচির দূর্নীতি ও অপকর্ম তুলে ধরে বক্তারা বলেন, একটি ইসলামিক প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন খাতের টাকা আত্মসাৎ করে নিজের ব্যক্তিগত কাজে ব্যয় করেছেন। বিগত সরকারের আমলে মাদ্রাসার উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য আসা বিশাল পরিমান অর্থ লোপাট ও নিয়োগ বানিজ্য করেছেন তারা। মাদ্রাসার উন্নয়ন তো দূরের কথা, নিজের উন্নয়নে ন্যস্ত করেছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ। তাই সাবেক সভাপতি কায়সার আহমেদ ও উপজেলা আ.লীগের দপ্তর সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের হেফাজতে থাকা মাদ্রাসার সমুদয় অর্থ ফেরতসহ তার কঠোর শাস্তি দাবী করেন এলাকাবাসী।
বক্তারা আরও বলেন, তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. বাদরুদ্দোজা সাক্ষরিত একটি হিসাবপত্রে জানা যায়, সভাপতি কায়সার আহমেদ কচি অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগে মোট ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার নিয়োগ বানিজ্য করেছেন। এরমধ্যে অধ্যক্ষকে নিয়োগ নেয়া বাবদ ১০ লাখ ও উপাধ্যক্ষের নিয়োগ ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা আদায় করেছেন তিনি। নিয়োগ বানিজ্য থেকে প্রাপ্ত আয়ের মধ্যে ৬ লাখ টাকা বোর্ড খরচ ও ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা উপজেলা আ.লীগকে প্রদানের কথা বলে আত্মসাৎ করেছেন সাবেক সভাপতি কায়সার আহমেদ। অন্যান্য পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ টাকার লেনদেন হলেও তার আপন ভাইকে বিনা টাকায় নিয়োগ দিয়েছিন।
গোহালবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, খালেআলমপুর দারুল সুন্নাত আলিম মাদ্রাসা ও বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের গভর্ণিং কমিটির সাবেক সদস্য মিজানুর রহমান, নুর আলম, স্থানীয় বাসিন্দা রহমতুল্লাহ। এসময় সাবেক ইউপি সদস্য ইমানুর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জমশেদ আলীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত ও ফেরতের দাবিতে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়।