বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:ভ্যান ভাড়া নেয়ার কথা বলে রাতের অন্ধকারে জনমানবহীন এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। দেশীয় অস্ত্র, আমের ডাল ও লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে আহত করে ভ্যান ছিনতাই করা হয়। পরে পরিচয় মুছতে লাশ সরিষা খেতে আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়। আটকের পর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক এমনই জবানবন্দি দিয়েছেন হত্যা মামলার প্রধান আসামী রুহুল আমিন কালু।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে চার্জার ভ্যান ছিনতাইয়ের পর ভ্যান চালক মোজাম্মেল হকের পরিচয় মুছতেই আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে শিবগঞ্জ থানায় ভ্যানচালক হত্যার বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ভ্যান চালক চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার রানিহাটি ইউনিয়নের চকবহরম গ্রামের মৃত ইসমাইল সরদারের ছেলে মোজাম্মেল হককে হত্যার মূল উদ্দেশ্যই ছিল তার চার্জার ভ্যান ছিনতাই করা। এরপর যাতে তার কোনো পরিচয় পাওয়া না যায়, তাই তাকে আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। হত্যার সাথে জড়িতদের সকলেই একাধিক মাদকসহ বিভিন্ন মামলার আসামী।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবাবগঞ্জ সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম জানান, ভ্যান চালক হত্যা ঘটনার পরদিন সকালে মরদেহ উদ্ধারের পর অভিযান শুরু করে পুলিশ। এরপর মোট ৬ জন আসামীর মধ্যে ৫ জন আসামীকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ছিনতাই করা চার্জার ভ্যান, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ও আমের ডাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আটককৃত আসামীরা হলেন, সদর উপজেলার বহরম হঠাৎপাড়া গ্রামের সদর আলীর ছেলে মো. খাইরুল, মো. গানুর ছেলে মো. রুহুল আমিন কালু, মৃত শেরফান আলীর ছেলে মো. শাহিন আলী, রবিউল ইসলামের ছেলে মো. ফটিক আলী ও রাজশাহীর তানোর উপজেলার বহরইল গ্রামের মো. শাহজাহানের ছেলে মো. জুয়েল রানা। মামলায় এখনও পলাতক রয়েছে বহরম হঠাৎপাড়া গ্রামের ভুলু শেখের ছেলে মো. হারুন আলী।
প্রসঙ্গত, গত ১ মার্চ শিবগঞ্জ উপজেলার ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর নদী রক্ষা বাঁধের পাশে পদ্মা নদীর ধারে থাকা সরিষার খেতে আগুনে পুড়িয়ে মারা হয় ভ্যান চালক মোজাম্মেল হককে।