সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী মধ্য গাজায় বিমান, স্থল ও জলপথে ব্যাপক হামলা চালিয়ে দুই শতাধিক লোককে হত্যা করেছে। শনিবার উপত্যকাটিতে বিমান হামলা চালানো হয়। বিশেষ করে মধ্য গাজায় দেইর আল-বালাহ ও নুসেইরাত, দক্ষিণের রাফা শহর এবং উত্তরের গাজা সিটির বেশ কয়েকটি স্থানে হামলা চালিয়ে চার পণবন্দিকে উদ্ধার করেছে ইজরায়েলি বাহিনী।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, বহু লোকের প্রাণ গেছে। আহতদের আল-আকসা মার্টিয়ার্স হাসপাতালে আনা হচ্ছিল, যাদের বেশির ভাগই শিশু ও নারী।
মন্ত্রণালয় জানায়, বহু লোক হাসপাতালের মেঝেতে পড়ে আছেন। চিকিৎসকরা তাঁদের কাছে থাকা মৌলিক চিকিৎসা সামগ্রী ব্যবহার করে তাদের বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ওষুধ ও খাবারের সঙ্কট রয়েছে।
জ্বালানির অভাবে হাসপাতালের প্রধান জেনারেটর কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে।
যে চার পণবন্দিকে আজ উদ্ধার করা হয়েছে তাঁদের গত ৭ অক্টোবর একটি গানের অনুষ্ঠান থেকে ধরে গাজায় নিয়ে গিয়েছিল প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস যোদ্ধারা।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, উদ্ধারকৃতরা হলেন নোয়া আরগামানি (২৫), আলমোগ মের জান (২১), আন্দ্রে কোজলোভ (২৭) এবং সলমি ঝিভ (৪০)।
এই চারজনকে দিনের বেলায় ‘জটিল’ অভিযানের মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে দখলদার ইসরায়েল। অভিযানটি চালিয়েছে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা। তাদেরকে মধ্য গাজার নুসেইরাতের আলাদা দুটি জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা করেছেন হামাসের পলিটব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়া।তিনি বলেছেন, ইসরায়েল তাদের ইচ্ছা হামাসের ওপর চাপিয়ে দিতে পারবে না এবং ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে না এমন কোনো চুক্তিও মানা হবে না।
এক বিবৃতিতে হামাস প্রধান বলেছেন, ‘আমাদের সাধারণ মানুষ আত্মসমর্পণ করবে না এবং এই অপরাধী শত্রুদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ অব্যাহত থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি ইসরায়েলি দখলদাররা মনে করে তারা তাদের ইচ্ছা আমাদের ওপর জোরপূর্বক চাপিয়ে দিতে পারবে, তাহলে তারা বিভ্রান্তিতে আছে।’
তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন