মসজিদের স্টোর রুম থেকে আপত্তিকর অবস্থায় নারীসহ দুই মুয়াজ্জিন আটক, অতঃপর

আপডেট: মে ২৯, ২০২৪, ১০:৪৪ অপরাহ্ণ

পাবনা প্রতিনিধি:


মসজিদের স্টোর রুম থেকে আপত্তিকর অবস্থায় এক নারীসহ দুই মুয়াজ্জিনকে আটক করেছে এলাকাবাসী। পরে তাদের গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
মঙ্গলবার (২৮ মে) দিবাগত রাত সাড়ে দশটার দিকে পাবনার চাটমোহরে উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের বেজপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত ২ মুয়াজ্জিন হলো, বেজপাড়া জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন ও হাফেজ ফরহাদ হোসেন উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের চিরইল গ্রামের শাহ আলমের ছেলে এবং মাওলানা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম তার সহযোগী একই ইউনিয়নের জগতলা গ্রামের দিলবার হোসেনের ছেলে।
এ ঘটনায় বুধবার (২৯ মে) সকালে বেজপাড়া জামে মসজিদ কমিটি’র-সভাপতি মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

অভিযুক্ত দুই মুয়াজ্জিন এবং স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় এক বছর ধরে হাফেজ ফরহাদ হোসেন বেজপাড়া জামে মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবে কর্মরত আছেন। মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে পৌর শহরের জারদিস মোড় এলাকা থেকে উপজেলার ধরইল এলাকার এক নারীকে দুই হাজার টাকার বিনিময়ে ভাড়া করে ফরহাদ হোসেন এবং নজরুল ইসলাম ভ্যানযোগে বেজপাড়া এলাকায় নিয়ে যান।

পরে রাত বাড়ার সাথে সাথে তারা দু’জন ওই নারীকে নিয়ে মসজিদের ভেতরের স্টোর রুমে প্রবেশ করেন। এরপর স্থানীয়রা তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে এবং বাইরে থেকে মসজিদের গেটে তালা দেয়।

খবর পেয়ে মসজিদ কমিটির লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত দুই মুয়াজ্জিন এবং ওই নারীকে বাইরে বের করে আনেন। এরপর এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে গণধোলাই দেওয়া শুরু করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনে। অভিযুক্ত ২ মুয়াজ্জিন ও নারীকে স্থানীয়রা পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

এ বিষয়ে বেজপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মোশারফ হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি ন্যক্কারজনক। তারা দুইজনেই বিবাহিত। এমন ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। এদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত-কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, ‘এমন ঘটনা আমি আমার চাকরি জীবনে কখনও পায়নি। এর চেয়ে ঘৃণিত কাজ আর হতে পারে না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের পর গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার দুপুরে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version