মসুলে ৩টি গাড়িবোমা বিস্ফোরণে নিহত ২৩

আপডেট: ডিসেম্বর ২৪, ২০১৬, ১২:০৭ পূর্বাহ্ণ

সোনার দেশ ডেস্ক


ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুলে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের তিনটি গাড়িবোমা হামলায় অন্ততপক্ষে ২৩ জন নিহত হয়েছেন।
বিবিসি বলছে, আইএসের শক্তঘাঁটি হিসেবে বিবেচিত মসুলের বেশকিছু অংশ ইরাকি বাহিনী পুনর্দখল করেছে। শহরটির পূর্বাঞ্চলে ইরাকি বাহিনী নিয়ন্ত্রিত অংশেই এই হামলা চালানো হয়েছে। পুরো শহর পুনরায় নিয়ন্ত্রণে নিতে ইরাকি যুদ্ধবিমানগুলো আইএস জঙ্গিদের অবস্থান লক্ষ করে বোমা বর্ষণ করেছে।
চলতি বছরের নভেম্বরের শুরুর দিকে ইরাকি বিশেষ বাহিনী মসুলের কুকজালি নিয়ন্ত্রণে নেয়। কুকজালির একটি বাজারের সামনেই বৃহস্পতিবার তিনটি গাড়িবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
আত্মঘাতী হামলাকারীরা এই হামলা চালিয়েছে কিনা তা জানায়নি ইরাকি সামরিক বাহিনী। কিন্তু আইএস দাবি করেছে, তাদের তিনজন সদস্য নিজেদের উড়িয়ে দিয়েছেন এবং অন্ততপক্ষে ২০ জনকে হত্যা করেছেন, পাশাপাশি বেশ কয়েকটি সামরিক যানও ধ্বংস করেছেন।
ইরাকে আইএসের সর্বশেষ শক্তঘাঁটি হিসেবে পরিচিত মসুল অভিযানে ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় ৫০ হাজার সদস্য, কুর্দি পেশমেরগা যোদ্ধা, সুন্নি আরব উপজাতি এবং শিয়া আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা এই অভিযানে অংশ নিচ্ছেন।
গেল মাসে শহরটিতে প্রবেশ করার পর থেকে ইরাকি ও মিত্র বাহিনীগুলোকে আইএস জঙ্গিদের আত্মঘাতী বোমা হামলা, দূরপাল্লার বন্দুক এবং গোলা হামলার মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এরআগে জাতিসংঘ জানিয়েছিল, মসুলে ইরাকি বাহিনী নিয়ন্ত্রিত অংশে গোলা হামলায় ইরাকের চার ত্রাণকর্মী ও সাতজন বেসামরিক সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন।
ইরাকে জাতিসংঘের ত্রাণ সমন্বয়কারী লিজ গ্রান্ডে এই হামলাগুলোর তীব্র নিন্দা জানিয়ে একে মানবিক নীতিবিরোধী আখ্যা দেন।
“মানবিক ত্রাণের জন্য অপেক্ষারত মানুষেরা এমনিতেই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছেন। তাদের সহায়তা প্রয়োজন। তাদের রক্ষা করা উচিৎ, হামলা নয়।” বলেন গ্রান্ডে।
তিনি আরো বলেন, “সংঘর্ষে জড়িত বিবদমান সব পক্ষকেই, সকল অংশেরই আন্তর্জাতিক মানবিক আইন সুরক্ষার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। পাশাপাশি সব পক্ষেরই সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষা এবং তাদের ত্রাণ গ্রহণের নিশ্চয়তা দেওয়া প্রয়োজন।”- বিডিনিউজ