রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস সম্প্রতি ম্যাসাচুসেটসের নীধামে অবস্থিত সুনীতা উইলিয়ামস এলিমেন্টারি স্কুলের ছাত্রদের সঙ্গে একটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় ভার্চুয়াল সেশন করেন। এই অনুষ্ঠানটি তরুণ দর্শকদের মধ্যে উৎসাহ তৈরি করে এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন মহাকাশচারীদের জীবন এবং মহাকাশে মহাকাশচারীদের সম্মুখীন হওয়া অনন্য চ্যালেঞ্জগুলি সম্পর্কে একটি দৃষ্টিকোণ প্রদান করে।
ইন্টারঅ্যাকটিভ সেশনের সময়, উইলিয়ামস, যিনি একাধিক মহাকাশ অভিযানে অংশগ্রহণ করেছেন, মহাকাশে তরল পান করার চ্যালেঞ্জটি প্রদর্শন করেন। মাইক্রোগ্রাভিটি পরিবেশে তরল পদার্থ ভিন্নভাবে আচরণ করে এবং মহাকাশচারীদের তরল পান করার জন্য উদ্ভাবনী পদ্ধতিতে মানিয়ে নিতে হয়। উইলিয়ামস ব্যাখ্যা করেন কীভাবে বিশেষ পাউচ ব্যবহার করা হয়, যাতে শূন্য মাধ্যাকর্ষণে তরল পদার্থ ভাসতে না পারে এবং সেগুলি পান করা যায়।
ভার্চুয়াল এই ইভেন্টটি ছাত্রদেরকে সরাসরি উইলিয়ামসের কাছে প্রশ্ন করার সুযোগ দেয়, যা তাদের জন্য মহাকাশচারীর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার একটি বিরল সুযোগ। উইলিয়ামসের ব্যাখ্যা এবং প্রদর্শনীর মাধ্যমে, তিনি তার দর্শকদের মধ্যে মহাকাশের বিস্ময় সম্পর্কে কৌতূহল জাগিয়ে তোলেন এবং তাদেরকে মহাকাশ অনুসন্ধানের প্রতি আগ্রহী করেন। এই সেশনটি শিক্ষা ও অনুপ্রেরণার একটি নিখুঁত মিশ্রণ ছিল, যা দেখায় যে মহাকাশ অনুসন্ধান বিজ্ঞানীয় জ্ঞান এবং বিস্ময়ের অনুভূতি উভয়ের সমন্বয় প্রয়োজন।
বর্তমানে মহাকাশে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উইলিয়ামস। ২০২৫ সালে তিনি একটি বড় মাইলফলক অর্জনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মিশনের আগে, তিনি তার স্পেসস্যুটের বিস্তারিত পড়াশোনা করছেন, যাতে তার লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমগুলি সঠিক অবস্থায় থাকে এবং স্পেসওয়াকের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামগুলি সঠিকভাবে কনফিগার করা হয়।
মহাকাশে তিনি বৈজ্ঞানিক গবেষণাও চালিয়ে যাচ্ছেন। আবহাওয়ার কারণে স্পেসএক্স ড্রাগন স্পেসক্রাফটের ফেরত আসতে বিলম্ব হলেও, উইলিয়ামস এবং তার দল মহাকাশ গবেষণায় অগ্রগতি অর্জন করতে কাজ করছেন, যার মধ্যে রোগ নির্ণয় এবং মহাকাশ পদার্থবিজ্ঞানে পরীক্ষামূলক গবেষণা অন্তর্ভুক্ত। তাদের প্রচেষ্টা মানবজাতির মহাকাশ সম্পর্কে আরও জ্ঞান অর্জন করতে অবদান রাখছে।
তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন