বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
সুনীতা উইলিয়ামসদের মহাকাশে ফেলেই পৃথিবীতে ফিরে এল বোয়িং স্টারলাইনার। শনিবার সকাল ৯.৩১ মিনিটে নিউ ম্যাক্সিকোর হোয়াইট স্যান্ডস স্পেস হারবার নামে ক্যাপসুলটি। এদিন মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার তরফে মহাকাশযান অবতরণের ভিডিও লাইভ সম্প্রচার করা হয়।
উল্লেখ্য, এই ক্যাপসুলে চড়েই ৫ জুন মহাকাশে রওনা দিয়েছিলেন সুনীতা ও বুচ উইলমোর।
জানা গিয়েছে, বেসরকারি মহাকাশযান স্টারলাইনার শনিবার সকাল ৮.৫৮ নাগাদ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে। তার পর মাটি ছুঁতে তার সময় লাগে আরও ৪৪ মিনিট। অবতরণের সময় বায়ুমণ্ডলে থাকাকালীন যানটির হিটশিল্ড চালু রাখা হয়।
এর পর একে একে খোলা হয় ৩টি প্যারাশুট। যাতে কোনও রকম দুর্ঘটনা এড়িয়ে ধীরে ধীরে তা পৃথিবীর মাটি ছুঁতে পারে। বিজ্ঞানীদের দাবি, মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে নামার এই গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সময় লাগে মোট ৬ ঘণ্টা। তবে বাহন পৃথিবীতে ফিরে এলেও আপাতত মহাকাশেই আটকে রইলেন সুনিতারা। আগামী বছর ফেব্রুয়ার মাস নাগাদ পৃথিবীতে ফিরবেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, গত ৫ জুন বোয়িং স্টারলাইনার ক্যাপসুলে চড়েই মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন সুনীতা এবং বুচ। তাঁদের গন্তব্য ছিল আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন। কথা ছিল ৮ দিনের মধ্যে কাজ সেরে ফের পৃথিবীতে ফিরবেন তাঁরা।
তবে এরই মাঝে স্টারলাইনারে ত্রুটি ধরা পড়ায় ভেস্তে যায় পরিকল্পনা। দেখা যায় থ্রাস্টার যন্ত্র কাজ করছে না মহাকাশ যানের। লিক করছে হিলিয়াম গ্যাস। এই অবস্থায় পৃথিবীতে না ফেরার সিদ্ধান্ত নেন মহাকাশচারীরা।
এই অবস্থায় গত শুক্রবার স্টারলাইনারকে বিদায় জানান দুই মহাকাশচারী। তাঁরা বার্তা দেন, ‘ওকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে নাও। সব ভাল হোক।’ সুনীতাদের মহাকাশে রেখে অবশেষে পৃথিবীতে ফিরল স্টারলাইনার।
এদিকে নাসার পরিকল্পনা, ফেব্রুয়ারি মাসে ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্সের যান পাঠানো হবে সুনীতাদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার জন্য। তার আগে পর্যন্ত মহাকাশে গবেষণার কাজ আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন এই দুই আমেরিকান মহাকাশচারী সুনীতা ও বুচ।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন