বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
এম. সাখাওয়াত হোসেন, মহাদেবপুর:
উত্তর অঞ্চলের খাদ্য ভান্ডার নামে খ্যাত নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলায় চলতি আউশ মৌসুমে ধানের দাম ও ফলন ভালো পেয়ে কৃষকে মুখে হাসি ফুটেছে।
জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে মহাদেবপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে মাঠে আউশ ধান আংশিক কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। ধানের বাম্পার ফলন ও বাজার মূল্য ভালো পাওয়াই কৃষকের স্বপ্ন পূরণ হতে শুরু করেছে। এখন আউশ মৌসুমের শেষ মুহুর্ত। উপজেলার প্রতিটি মাঠে মাঠে বাতাসের তালে তালে দোল খাচ্ছে সোনালী ধানের শীষ। প্রতিটি কৃষক নিজের উৎপাদিত স্বপ্ন গাথা ধানের শীষ দেখে কৃষক-কৃষাণীর মুখে ফুটে উঠেছে তৃপ্তির হাসি।
ধান কাটা শ্রমিক, মাড়াই করার জন্য বোঙ্গা মেশিন সংগ্রহ, শুকানোর খলিয়ান তৈরি, কিছু ধান রাখা ও বিক্রয়ের প্রস্তুতিমুলক কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন এই উপজেলার কৃষক কৃষাণীরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২৩-২০২৪ আউশ মৌসুমে মহাদেবপুর উপজেলায় ১৪ হাজার ৯২০ হেক্টর জমিতে আউশ ধান চাষ করেছে কৃষকরা। এর মধ্যে পারিজা ৫৪৮০ হেক্টর, ব্রিধান ৪৮ জাত ৫৭৮০ হেক্টর, জিরাশাইল ৩৫০ হেক্টর, বিনা ধান-১৯ জাত ২৮৫০ হেক্টর, বিনা ধান-২১ জাত ২০ হেক্টর, ব্রিধান ৯৮ জাত ৯০ হেক্টর, ব্রিধান ৮২ জাত ১০ হেক্টর, ব্রিধান ৫৫ জাত ৩৪০ হেক্টর জমিতে আউশ ধান চাষ করেছে।
সরজমিনে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) উপজেলার সারতা গ্রামের কৃষক ফিরোজ হোসেন ও মাসুদ রানা জানান, দুই বিঘা জমিতে বিনা ধান-১৯ জাতের ধান কেটেছেন। দুই বিঘা জমিতে ৪০ মন কাঁচা ধান হয়েছে। বাজারে ১০৫০টাকা দামে বিক্রয় করেছেন। ফলন ও দাম ভালো পেয়ে তিনি বেজাই খুশি। বাজারে পারিজা জাতের ধানের দাম ১১০০ থেকে ১১২০ টাকা প্রতি মন বিক্রয় হচ্ছে। এ উপজেলার কৃষকরা চলতি আউশ মৌসুমে ব্যাপক জমিতে আউশ ধান চাষ করেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ জানান, চলতি আউশ মৌসুমে মহাদেবপুর উপজেলায় ১৪ হাজার ৯২০ হেক্টর জমিতে আউশ ধান চাষ হয়েছে। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আউশ ধানের বাম্পার ফলন ও দাম পেয়ে কৃষক-কৃষাণীর মুখে হাসি ফুটেছে।