বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
মহাদেবপুর প্রতিনিধি
নওগাঁর মহাদেবপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ানের মোট ১শ ৩২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪২টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ মোট ৭০টি শিক্ষকের পদশূন্য থাকায় প্রাশাসনিক কার্যক্রমসহ বিদ্যালয়ের প্রায় ১২ হাজার কোমলমতি শিক্ষার্থীর ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান।
উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মোট ১শ ৩২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় , ৬টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৯টি ইফতেদায়ি মাদ্রাসা, ৩২টি কিন্ডারগার্টেন (কেজি) বিদ্যালয় ও ২২টি ব্রাক বিদ্যালয় রয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ চাকরিতে যোগ দেয়ার অধিকাংশ চাকরি থেকে অবসর ও মৃত্যুজনিত কারণে ৪২টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ মোট ৭০টি শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। ফলে ওই সকল বিদ্যালয়ের শেণিকক্ষে শিক্ষার্থী পাঠদানে শিক্ষকস্বল্পতা দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে সহকারী শিক্ষকের ২৮টি পদশূন্য থাকায় এ সমস্যা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।
একাধিক শিক্ষক জানান, সাধারণত শ্রেণিকক্ষে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক পাঠদান করে থাকেন। এছাড়া প্রধান শিক্ষক না থাকায় একজন ভারপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি দাফতরিক কাজকর্মে ব্যস্ত থাকায় বিশেষ করে ৩-৫ শিক্ষকের বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে। যে ৪২টি প্রথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই সে সকল বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে শিক্ষক না থাকায় অনেক বিষয়ে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান অনিয়মিত হচ্ছে। এদিকে জ্যৈষ্ঠ সহকারী শিক্ষক নিয়মনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকায় অনেক প্রশাসনিক কাজে জটিল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেনা না। যে কারণে প্রশাসনিক কাজকর্মে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মহাদেবপুর উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান ৪২টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ মোট ৭০টি শিক্ষকের পদশূন্য থাকায় বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ব্যাহতসহ প্রাশাসনিক কার্যক্রমে স্থবিরতার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ওই শূন্যপদগুলো দ্রুত পুরুণ হওয়া আবশ্যক। প্রধান শিক্ষকের পদশূন্য থাকায় বিদ্যালয় পরিচালনায় নানাবিধ সমস্যা সৃষ্ঠি হচ্ছে। বিষয়টি সু-বিবেচনা পূর্বক জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধতন কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।