মহাদেবপুরে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭, ১২:০৫ পূর্বাহ্ণ

এম সাখাওয়াত হোসেন, মহাদেবপুর  



নওগাঁর মহাদেবপুরে ফলে ভরা সরিষার মাঠ দেখে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। আর সেই সঙ্গে চাষিদের চোখে সোনালী স্বপ্ন দেখা দিয়েছে। চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক জমিতে সরিষা চাষ করেছেন কৃষকরা। এবার সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। বিস্তৃর্ণ মাঠজুড়ে হওয়াই দোল খাচ্ছে সবুজ সরিষার সমারোহ। ভোজ্যতেলের দাম ও চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসূমে এ উপজেলায় ২ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে এই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক ২ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করেছেন কৃষকরা। সয়াবিন তেলের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা সরিষা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
রোদইল গ্রামের কৃষক হেলাল উদ্দীন, মামুনুর রশিদ ও নাটশাল গ্রামের কৃষক জাহেদুল ইসলাম জানান, শুষ্ক মৌসুমে ইরি-বোরো ধান চাষ বেড়ে যাওয়ায় দেশে রবি ফসলের উৎপাদন আশঙ্কাজনক হ্রাস পেয়েছে। সম্প্রতি কৃষকরা উপলব্ধি করছেন বোরো জমি ফেলে না রেখে আগাম রবি ফসল ফলানো যায়। তারা এখন ফলে ভরা সরিষা মাঠ দেখে চোখে সোনালী স্বপ্ন দেখছেন। এসব জমিতে কার্তিক মাসে বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জমির আগাছা পরিস্কার করে সামান্য হালচাষ করেই সরিষা বপণ করা হয়েছে। ৮০ থেকে ১শ দিনের মধ্যে পাকা সরিষা কৃষকরা ঘরে তুলতে পারবেন। এরপর জমি চাষ করে ফাল্গুনের শুরুতে বোরো রোপণ করতে কোনো অসুবিধা হবে না। ফলে সরিষার মতো অতি স্বল্প সময়ের ফসলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ একেএম মফিদুল ইসলাম জানান, অনুকূল আবহাওয়া ও নিবিড় পরিচর্যার কারণে এ উপজেলায় এবার সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।