রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
এম. সাখাওয়াত হোসেন, মহাদেবপুর (নওগাঁ) থেকে :
নওগাঁর মহাদেবপুরে ৫ হাজার বস্তায় মশলা জাতীয় ফসল আদা চাষ করে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন জাহিদুল ইসলাম। প্রায় প্রতিদিনই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আদা খেত দেখতে আসছেন বিভিন্ন কৃষক। অল্প খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় আদা চাষে দিনদিন কৃষকরা আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
উপজেলার বামনওড়া গ্রামে কৃষক জাহিদুল ইসলাম জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগিতায় তার বাড়ির পাশের্^ ৩৩ শতক পতিত জমিতে সিমেটের বস্তায় আদা চাষ করেন। চলতি আদাচাষ মৌসুমের এপ্রিল মাসের শুরুর দিকে পরিমাণমত বেলে দোঁয়াশ মাটি, বয়লারের ছাই, বালি, রাসায়নিক ও জৈব্য সার মিশ্রণ করে ৫ হাজার সিমেটের বস্তায় প্যাক করেন।
এপ্রিল মাসের মাঝামাঝির দিকে প্রতিটি বস্তায় ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম বারি-১ ও ২ জাতের আদা বীজ বোপন করেন। আদার গাছ কিছুটা বড় হলে বীজ আদা গাছের গোড়া থেকে কেটে বাজারে বিক্রয় করেন। এতে করে বীজ আদা ক্রয়ের খরচ কিছুটা কমে যায়। প্রতিটি বস্তায় আদা চাষে জাহিদুল ইসলামের খরচ পরেছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।
সোমবার বিকেলে সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, প্রতিটি বস্তায় ২০ থেকে ২৫টি করে আদা গাছের কুশি রয়েছে। আদা চাষী জাহিদুল ইসলাম জানান, পৌষ-মাঘ মাষে বাজারে বিক্রয় করলে ৬ লাখ ৫০ হাজার থেকে ৭ লাখ টাকা লাভ হবে বলে আশা করছেন তিনি। তবে বীজ হিসাবে বৈশাখ মাসে এ আদা বিক্রি করলে ১৩ থেকে ১৪ লাখ টাকা লাভ হবে বলে বিভিন্ন আদা চাষী জাহিদুল ইসলামকে জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ জানান, চলতি আদা মৌসুমে মহাদেবপুর উপজেলায় ১০ হেক্টর জমিতে আদা চাষ হয়েছে। বারি-১ ও ২ জাতের ব্যতিক্রর্মী আদা চাষী জাহিদুল ইসলাম।
এ জাতের আদা উচ্চফলনশীল ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন জাত। মশলা জাতীয় ফসল আদা চাষ লাভজনক হওয়ায় এ উপজেলার কৃষকদের দিনদিন আগ্রহ বাড়ছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে আদার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।