মহাদেবপুর লিচুর ব্যাপক কদর বেড়েছে II প্রতিদিন অর্ধলক্ষাধিক লিচু বিক্রয় করছেন ব্যবসায়ীরা

আপডেট: মে ২৩, ২০২৪, ১০:২৭ অপরাহ্ণ


এম. সাখাওয়াত হোসেন, মহাদেবপুর:


নওগাঁর মহাদেবপুরে মধুমাখা জ্যৈষ্ঠ মাসে সুস্বাদু রসালো ফল লিচুর ব্যাপক কদর বেরেছে। মহাদেবপুর উপজেলা সদরে প্রায় ২৮ জন লিচু বিক্রেতারা গড়ে প্রতিদিন অর্ধলক্ষাধিক লিচু বিক্রয় করছেন বলে জানিয়েছেন লিচু ব্যবসায়ীরা। মৌসুমী ফল লিচু রসালো এবং সুস্বাদু হওয়াই বাজারে লিচুকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন ক্রেতারা। প্রখর দাবদাহে প্রকৃতি ও মানুষ যখন গরম ও ক্লান্তিতে ধুঁকছে, সেই সময়ই এক পশরা বৃষ্টি নিয়ে প্রকৃতিতে হাজির হয় মধুমাস জ্যৈষ্ঠ। আর জ্যৈষ্ঠ মাস সাথে নিয়ে আসে নানা রকম সুস্বাদু ফল। ক্লান্ত মানুষদের স্বস্তি দিতে এ মাসেই প্রকৃতি উপহার দিয়ে থাকে রসালো ও সুস্বাদু ফল লিচু।

মহাদেবপুর উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে মৌসুমী ফল লিচুর ব্যাপক দেখা যাচ্ছে। উপজেলা সদরের বাসষ্ট্যান্ড, মাছের মোড়, বকের মোড়, পোষ্ট অফিস মোড়, ঘোষপাড়ার মোড়, মধ্যবাজারসহ বিভিন্ন মোড়ে প্রায় ২৮ জন লিচু বিক্রেতারা গড়ে প্রতিদিন প্রায় অর্ধলক্ষাধিক লিচু বিক্রয় করছেন।

লিচু ব্যবসায়ী সুলতানপুর গ্রামের রিপোন, কাচারিপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেক ও ফাজিলপুর গ্রামের রাজু ইসলামসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা জানান, এই উপজেলায় লিচু ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন মোড়ের ফুটপাতে বসে প্রতিদিন গড়ে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক লিচু বিক্রয় করে থাকেন। অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছর লিচুর মৌসুমে বেচাকেনা বেড়েছে। জ্যৈষ্ঠ মাসের ভ্যাপসা গরমে দুপুর বেলা কম লিচু বিক্রি হলেও প্রতিদিন সকাল ও বিকালে লিচুর বেচাকেনা বেশী। অন্যান্য বছর লিচুর মৌসুমে এমন সুযোগ আমরা পাই নাই।একশত লিচু ৩৪০ থেকে ৩৮০ টাকা পর্যন্ত দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

লিচু ক্রেতা আমজাদ হোসেন জানান, জ্যৈষ্ঠ মাসে যেসব ফল বাজারে পাওয়া যায় তার মধ্যে সুস্বাদু রসালো ফল লিচু খাইতে আমার খুব ভালো লাগে। তবে গত বছরের তুলনায়ে এ বছর লিচুর দাম একটু বেশি।

লিচু ব্যবসায়ীরা আরো জানান, মহাদেবপুর উপজেলার বিভিন্ন বাগানসহ উত্তর অঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে রসালো ফল লিচু নিয়ে আসেন। এতে এ উপজেলা সদরে ২৮ জন খুচরা ও পাইকারি লিচু বিক্রেতা প্রতিদিন ১হাজার টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকেন। এ আয় দিয়ে তারা সন্তানদের লেখাপড়ার খরচসহ সংসার চালানোর কাজে ব্যায় করেন।