মাইশুকুরের ব্যাটিং দৃঢ়তায় রাজশাহীর লিড

আপডেট: জানুয়ারি ৬, ২০১৭, ১২:০১ পূর্বাহ্ণ

সোনার দেশ ডেস্ক



জাতীয় ক্রিকেট লিগের শেষ রাউন্ডে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে লড়ছে রাজশাহী বিভাগ ও রংপুর বিভাগ। রাজশাহী বিভাগ প্রথম ইনিংসে সুবিধা করতে না পারলেও দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আর সেটা সম্ভব হয়েছে মাইশুকুর রহমানের ব্যাটিং দৃঢ়তায়।
প্রথম ইনিংসে রাজশাহী ১৯১ রানে অলআউট হয়ে যায়। জবাবে রংপুর বিভাগ তাদের প্রথম ইনিংসে ৩৫১ রান সংগ্রহ করে। ১৬০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে রাজশাহী বিভাগ। শুরুতে উইকেট হারালেও মাইশুকুর রহমানের অপরাজিত ১৪৬ রানে ভর করে ৭২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩১৩ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করেছে। রংপুরের বিপক্ষে ১৫৩ রানের লিড নিয়েছে রাজশাহী। ক্রিজে আছেন মাইশুকুর রহমান (১৪৯) ও অধিনায়ক জহুরুল ইসলাম (৪১)। তারা দুজন চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নামবেন। মাইশুকুরের ২০০ বলে করা ১৪৯ রানের ইনিংসে ১৫টি চারের মারের পাশাপাশি ২টি ছক্কার মারও রয়েছে। জহুরুল ইসলাম ছাড়াও মাইশুকুরকে ব্যাট করতে সহায়তা করেছেন জুনায়েদ সিদ্দকী (৬৮) ও ফরহাদ হোসেন (২৮)। বল হাতে রংপুরের সাজেদুুল ইসলাম, নাসির হোসেন ও মাহমুদুল হাসান ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।
টানা দ্বিতীয় শিরোপা জয় খুলনার : এদিকে ফতুল্লায় তিন দিনের মধ্যেই ঢাকা মহানগরকে ৩৯৮ রানে হারিয়ে জাতীয় ক্রিকেট লিগে আবারও চ্যাম্পিয়ন হলো খুলনা বিভাগ। টানা দুটিসহ জাতীয় লিগে খুলনা এটি পঞ্চম শিরোপা। খুলনা দিনটা শুরু করেছিল দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে ২২৭ রান নিয়ে। এই রানের সঙ্গে আরও ১৯৬ রান যোগ করে লাঞ্চের পর ইনিংস ঘোষণা করেন দলটির অধিনায়ক আবদুর রাজ্জাক। সেঞ্চুরি করেছেন আগের দিন ৭৩ রানে অপরাজিত থাকা তুষার ইমরান। টানা তৃতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি পাওয়া তুষার ১৬৯ বলে ১৪ চার ও ৩ ছয়ে করেছেন ১৩৮ রান।
৫০৯ রানের লক্ষ্য পেরোতে প্রায় ছয় সেশন সময় পেয়েছিল মহানগর। কিন্তু দলটি দুই সেশনও টিকতে পারেনি। ৩৯ ওভারেই অলআউট হয়েছে ১১০ রানে। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া পেসার আল আমিন হোসেন ৪১ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট। ছয় রাউন্ড শেষে খুলনার পয়েন্ট হলো ৫৮। শেষ রাউন্ডে সিলেট বরিশালকে হারালে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ঢাকা বিভাগের পয়েন্ট হবে ৫৪। বৃহস্পতিবারের হারে নিশ্চিত হয়েছে মহানগরের দ্বিতীয় স্তরে নেমে যাওয়াও।