মাকে সুস্থ রাখতে দীর্ঘ ২০ বছর মেয়ে সেজে রইলেন এই ব্যক্তি

আপডেট: জুলাই ২৩, ২০১৭, ১২:৪৭ পূর্বাহ্ণ

সোনার দেশ ডেস্ক



মা। আবেগ, ভালবাসা, স্নেহের অন্য এক রূপ। সন্তানের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করতেও দু’বার ভাবেন না জন্মদাত্রী। ঠিক তেমনই মায়ের প্রতি ভালবাসা, সম্মান, শ্রদ্ধার নানাবিধ উদাহরণও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এ দুনিয়ায়। কিন্তু এক চিনা সন্তানের মায়ের প্রতি ভালবাসা যেন অন্য মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে। তাঁর কাহিনি না শুনলে বিশ্বাসই করা যায় না, এ পৃথিবীতে আজও শুধু মায়ের জন্যই হাসিমুখে জীবন কাটিয়ে দেওয়া যায়। নিজের পরিচয় ভুলে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তিনি মেয়ের বেশে রয়েছেন মাকে সুস্থ রাখতে। চিনের গুয়াংজি প্রদেশের এই ব্যক্তির মায়ের প্রতি ভালবাসা তাঁকে ‘হিরো’ বানিয়ে দিয়েছে। চিনের ওয়েবসাইটে তাঁর ভিডিও ভাইরালও হয়ে গিয়েছে। কী করেছেন? ২০ বছর আগে তাঁর বোনের মৃত্যু হয় সেই শোক কোনওভাবেই সহ্য করতে পারেননি তাঁর মা। মেয়ের মৃত্যুর পর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। মায়ের শারীরিক অবস্থারও অবনতি ঘটতে থাকে। চিন্তার ভাঁজ পড়ে ছেলের কপালে। ভাবতে শুরু করেন, কী উপায়ে মাকে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফেরানো যায়। তখনই মাথায় বুদ্ধি খেলে যায়। স্থির করেন, মায়ের চোখের সামনে আবার বোনকে তুলে ধরবেন। কিন্তু মৃত বোনকে ‘জীবন্ত’ করা তো আর সম্ভব নয়। তবে সেই অসাধ্যই সাধন করলেন তিনি অন্য উপায়ে। ঠিক করলেন, বোনের পোশাক গায়ে চাপিয়ে নিজেই বোন হয়ে উঠবেন। যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। ছেলের মাধ্যমেই মা ফিরে পান হারানো মেয়েকে। তবে এক-দু বছরের জন্য নয়, দীর্ঘ ২০ বছর এভাবেই মাকে মানসিকভাবে সুস্থ রেখেছেন ছেলে।
এই ব্যক্তি পেশায় বাঁশিওয়ালা। মায়ের সেবার জন্য ছেলে বিয়েও করেননি। তিনি জানাচ্ছেন, ২০ বছর ধরে তিনি আর কখনও ছেলেদের পোশাক পরেননি। ছেলের এই ভালবাসায় আপ্লুত মা। বলছেন, “আমার ছেলে আমার মেয়েকে ফিরে দিয়েছে।” চিনা ব্যক্তি ভিডিও যেমন সাধারণের প্রশংসা কুড়িয়েছে, তেমনই অনেকে কটাক্ষও করেছেন। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, মেয়ে সাজার জন্যই কি এই পন্থা নিয়েছেন ওই ব্যক্তি? আবার অনেকে জিজ্ঞেস করছেন, মা কী কখনও জানতে চাননি তাঁর ছেলে কোথায়?
তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ